Wednesday, September 07, 2011

দিল্লিতে নাশতা, চট্টগ্রামে লাঞ্চ মান্দালয়ে রাতের খাবার


কয়েক বছর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আশা প্রকাশ করেছিলেন- দিল্লিতে নাশতা, লাহোরে লাঞ্চ আর কাবুলে রাতের খাবার খাবেন। ভারতের পশ্চিমের দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করে মনমোহন এমন স্বপ্ন ব্যক্ত করেছিলেন। ভারত আশা করেছিল, শান্তি আলোচনার মাধ্যমে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে একটা চমৎকার সম্পর্কে পৌঁছানো যাবে। কিন্তু মুম্বাইয়ে হোটেল তাজে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা তার সে আশার গুড়ে বালি ফেলে দেয়। এখন ঢাকা সফরের আগে ভারতের কয়েকজন সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী তার সে ইচ্ছার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য সি. রাজা মোহন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় দুটি কলাম লিখে এ বিষয়ে মনমোহন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন তিনি। বলেছেন, পশ্চিম সীমান্তে যা হয়নি পুবে তা হতে দোষ কি? মনমোহন দিল্লিতে নাশতা, চট্টগ্রামে লাঞ্চ আর মান্দালয় বা কুনমিংয়ে রাতের খাবারের কথা ভাবছেন না কেন? ভারতীয় বিশ্লেষকদের মধ্যে পূর্বদিকে সম্পর্কোন্নয়নের এই আইডিয়া আসার পেছনে বড় একটি কারণ চীন। বেশ কয়েক দশক ধরে প্রতিবেশীদের বেলায় চীন যে নীতি অনুসরণ করছে তা শুধু এশিয়াতে নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে প্রতিবেশীদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। তাদের সঙ্গে উন্নয়ন, অগ্রগতি ভাগ করে নিতে চেয়েছে। বিনিয়োগ, ব্যবসা, বাণিজ্য, যোগাযোগে তাদের সহায়তা করেছে। এর ফল হয়েছে দারুণ। দেখা গেছে, সীমান্তজুড়ে চীনের বন্ধুর শেষ নেই। অথচ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের অগ্রগতি হয়েছে সত্য, কিন্তু প্রতিবেশীদের তাতে কোনো ভাগ নেই। ভারতের চারদিকে বিরোধিতাই মূল আবহসঙ্গীত হিসেবে বেজে চলেছে। বিশ্বে শক্তিশালী রাষ্ট্র হতে গেলে এটা সুখকর কোনো অবস্থান হতে পারে না। তাই ক্ষীণ হলেও ভারতে এখন সমঝোতার কূটনীতি জায়গা করে নিয়েছে। চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা তো আছেই। নিজেদের স্বার্থেও ভারতের এখন এটি দরকার। মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে এ মনোভাবের ছাপ পড়তে পারে বলে আশা করছিলেন কেউ কেউ। সি. রাজা মোহন মনে করেন, এ সফরটি 'গেম চেঞ্জার' বা 'খেলার বদল ঘটানো' উদ্যোগ। রাজা মোহন বলেছেন, মনমোহনের এই সফর শুধু বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলের জন্যই একটি নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার এবং চীন পর্যন্ত এ সফরের প্রভাব পড়তে পারে। তার মতে, ভারতের জন্য এটি একটি সুযোগ। বাংলাদেশও মনে করে ট্রানজিটকে বাংলাদেশ- ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রতিবেশীদের মধ্যে বিস্তৃত করা দরকার। ট্রানজিট থেকে ভারত যেমন তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের সুবিধা পাবে তেমনি বাংলাদেশেরও উপযুক্ত ট্রানজিট মাশুল পাওয়া উচিত। দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের বাইরে নেপাল-ভুটান পর্যন্ত ট্রানজিট সুবিধা বিস্তৃত হওয়া উচিত। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরেই উপমহাদেশের পূর্বাংশের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে চীন উচ্চাকাঙ্ক্ষী একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সঙ্গে মিয়ানমার, বাংলাদেশ, নেপাল এবং পূর্ব ভারতের আন্তঃসীমান্ত যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ইউনান থেকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রাম থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। ব্রিটিশরাজ যা পারেনি তা এবার সম্ভব হচ্ছে। মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রেল ট্রানজিটের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। রাজা মোহন মনে করেন, এই সফরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর উচিত শেখ হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে দক্ষিণ এশীয় রেল নেটওয়ার্কে ভারতের যুক্ত হওয়ার পথে শক্ত অবস্থান নেওয়া। রাজা মোহনের মত যে খুব গৃহীত হচ্ছে তা নয়। বরং এখনও রক্ষণশীল প্রতিবেশী নীতিই ভারতে প্রধান। মনমোহন সেই রক্ষণশীলতা কাটিয়ে চীনের মতো ভারতকেও আঞ্চলিক নেতার মর্যাদায় নিয়ে যেতে পারবেন কি-না, প্রতিবেশীদের ছাড় দিয়ে, সুযোগ দিয়ে তাদের আস্থা অর্জন করতে পারবেন কি-না সেটি ভবিষ্যৎই বলতে পারবে।

Thursday, June 17, 2010

ই বুক প্রসঙ্গে

Thursday, May 7, 2009 at 7:38pm on facebook
ই-বুক নিয়া লেখকরা কী ভাবেন এইটা জানার ইচ্ছা থেকে নোটটা লিখতেছি। লেখকদের মধ্যে একটা বদ্ধমূল ধারণা হইলো, ই-বুক করলে বইয়ের বিক্রি কমে যাবে। ঘটনাটা আসলে কী? এইটা জানতে একদিন আনিস ভাইয়ের (আনিসুল হক) সাথে কথা বলছিলাম। উনি কইলেন, ই-বুক করার পর বইয়ের বিক্রি কমে না, বরং বাড়ে। আনিসুল হকের 'মা' বইটা বৈধভাবে ই-বুক হইছে। প্রচুর ডাউনলোড হইছে। তাতে বইটার পাঠক বাড়ছে বই কমে নাই।
আমি আসলে ই-বুক নিয়া জানতে বা বুঝতে শিখছি অল্প দিন হইছে। অল্পবুদ্ধি ভয়ংকর। হঠাৎ সেদিন মনে হইলো, সুব্রতদার 'পুলিপোলাও' বইটা ই-বুক আকারে থাকলে সুবিধা হইতো। পুলিপোলাও আসলে কিনছিল শুভাশিষ সিনহা। আমি ওর কাছ থেকে নিয়া পড়ছিলাম। এখন আবার পড়ার ইচ্ছা করতেছে। পাইতেছি না। ই-বুক থাকলে ডাউনলোড কইরা পড়তে পারতাম। এই রকম মেলা বইয়ের কথা বলা যায়, যেইগুলা বাজারে নাই, সহসা ছাপা হওয়ার সম্ভাবনাও নাই। আবার পড়াও দরকার। এরকম বইগুলা হাতের নাগালে থাকলে ভাল।
অদিতি ফাল্গুনীর 'ইমানুয়েলের গৃহপ্রবেশ' বইটার কথা মনে পড়তেছে। বইটা অনেকেই পড়তে চায়। কিন্তু পাওয়া যায় না। অনেক লেখকের প্রথম বইয়ের কথা বলা যায়, যেইগুলা মনে হয় ছাপা অবস্থায় লেখকের কাছেও নাই। যেমন কামরুজ্জামান কামুর 'কবি মুখপত্রহীন'। নতুন পাঠকের কাছে বইগুলা পৌঁছাইতেছে না।
কথা হইলো, কী করা যায়? আমাদের প্রকাশকরা বই ছাপে ৩০০-৫০০ কপি। প্রথমবার শেষ দিনে মেলায় বই আইনা কিছু বেচে। আজিজ মার্কেটে দোকানপ্রতি ৫ কপি দেয়। এরপর বাকী বই বাঁধাই হইলো না নীলক্ষেতে গেল খবর নাই। কারো ভাগ্য ভাল হইলে মেলার মাঝামাঝি বই আসতে পারে। তখন ৮০-১২০ কপি বেচা হয়। ধরা যাক ২০০ কপিই বেচা হইলো। পত্রিকা অফিসে ২০ কপি। লেখকের নিজের কাছে ৫ কপি থাকলো। এইতো হিসাব। তাইলে পাঠক তো পাইতেছে না। ই-বুক করলে অন্তত পাঠক চাইলে পাইতে পারে।
ভাল বইগুলার ই-বুক এক জায়গায় জড়ো করার জন্য একটা ওয়েবসাইট করার চিন্তা করতেছি। লেখকদের অনুমতি সাপেক্ষে বইগুলা সেইখানে থাকতে পারে। একটা জায়গা তৈরি করা যাইতে পারে যেইখানে গেলে ভাল কিছু বই পাওয়া যাইতে পারে। সেই বইগুলার প্রচারণাও করা যাইতে পারে।
যাই হউক, ফেসবুকে আমি একটা পেজ খুলছি। ই-বুক ও ই ম্যাগাজিন নামে। আপনাদের পরামর্শ পাইলে আগানো যাইতে পারে। কী বলেন?
Ireen Sultana

Mostofa Kamal Chowdhury

আসাদ ইকবাল শান্ত

Trivuz ত্রিভুজ

Nokshi নকশী

Salah Uddin Shuvro

Rokonuzzaman রোকন
Jahangirnagar University

Tanim Humayun

Sayeed Jubary

Mamunur Rahman
Bangladesh University of Eng and Tech

Salahuddin Ferdaus

Nafees Imtiaz Pial

Sujan সুজন

Jannatun Nahar Munnee

Kalo Kali Das


বৃষ্টির গান


liked this note.

দাবী-দাওয়া ও দখলদারির সাহিত্য

Thursday, April 23, 2009 at 1:23pm on face book
একবার এক লেখক বন্ধু আলাপ শুরু করলেন এমনে। কইতেছিলেন, তোমরা যেমনে লেখো...। আমি নিপ ইন দ্য বাড খেললাম। বললাম, আমার কোনো গল্প তো আপনে পড়েন নাই। আমি একেবারে অনুমানে কইছি। দেখি উনি একেবারে কাবু হয়া গেলেন। আমি কইলাম, শুনেন পড়তে হবে এমন আমি কইতেছি না। তলস্তয়ও তো আপনে পড়েন নাই। তাতে কী? কিন্তু না পইড়া কথা বলা ঠিক না।
চারদিকে এইরাম ঘটনা প্রচুর। কেউ হয়তো প্রশংসা কইরা বসলো। চাইপা ধরেন, দেখবেন পড়ে নাই। এমনেই কইতেছে। কোনো ধান্দা আছে। যারা নিন্দা করে তারা কিছু কিছু পড়ে বইলা আমার ধারণা। তবে ইদানিং অনেক নিন্দুক দেখতেছি, যারা না পইড়া নিন্দার মতো সিরিয়াস কাজটা করেন।
আরও ঘটনা ঘটে, যেমন ধরেন আমি গত দুই বছর লেখতেছি না তেমন গল্পগাছা। তো, কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী আছে। দেখা হইলে কইবে, মেলাদিন লেখতেছো না। আমি দুইএকজনরে চ্যালেঞ্জ কইরা দেখছি। আমার লেখা না লেখায় ওনাদের কিছু আসে যায় নাই। কথার কথা হিসাবে কয় এইগুলা। আসলে গল্প কিছু পড়ে নাই।
এইরাম এক শুভানুধ্যায়ীর সঙ্গে লাস্ট সপ্তায় দেখা। কয়, মেলাদিন তো লেখেন না মোর্শেদ। আমি বক্র হাসি দিয়া কইলাম, জাতিকে আর কত দিবো? ছেচল্লিশটা গল্প লেখলাম। জাতি এইগুলা বুইঝা সারুক। দেন আবার লেখায় হাত দিবো। সংখ্যা একটা ব্যাপার। উনি বিস্ময় প্রকাশ কইরা কন, ৪৬? এইগুলা কোথায় ছাপা হইছে?
লে হালুয়া। কোথায় ছাপা হইছে এখন ওনাকে বলতে হবে। অছাপা একটাও নাই, এইটা খালি কইলাম। সাথে কইলাম, এই যে আপনেরা যারা খালি নিজের লেখা মনোযোগ দিয়া পড়েন তাদের নিয়া সমস্যা। মনে করেন, ইতিহাসের সেন্টারে আপনেরা বইসা আছেন। গায়ের ওপর দিয়া হাতি হাঁইটা গেলেও মনে করেন মাছি বসছে। এমনে বাংলা সাহিত্যের সাড়ে সর্বনাশ করতেছেন। আত্মচোদনের একশেষ কইরা দিতেছেন। রেফারেন্স দিতে গেলেও নিজের সাহিত্য থেকে দেন। অশ্লীল কথা শুইনা উনি একটু সম্বিত ফিরে পাইলেন। যুক্তি দিতে চাইলেন, কইতে থাকলেন, উল্লেখযোগ্য পত্রিকায় যদি আপনের লেখা ছাপা না হয়........। আমি কইলাম, তাইলে আর আমারে নিয়া কথা কেন? আমি লিখি না লিখি সেইটা জানতে চায়া আমার শান্তি বিঘ্ন করেন ক্যান?
মুসলমানদের বাংলা সাহিত্য হইলো মামা-চাচাদের সাহিত্য। ভাইস্তা-ভাগ্নিদের সাহিত্যের খুব কদর। আপনে ভাইস্তা-ভাগ্নি হয়া যান সমস্যা হবে না। বাৎসল্য, প্রীতি আর প্রেমের দুনিয়ায় আপনেরও কিছু জায়গা হবে। আর আছে আত্মরতি সোজা বাংলায় যারে কয় আত্মচোদন। বাংলাদেশে যে কাউরে কইলে নিজের ওপর একটা বক্তৃতা দিতে পারবে, একটা পিএইচডি করতে পারবে। আর এই জ্ঞানীরে গরুর রচনা লিখতে কন, দেখবেন খালি মাঠে গরু খুঁজতেছে।
আমার কথা বিশ্বাস না করলে, কবি বন্ধু আপনের সবচেয়ে কাছের কবিবন্ধুরে আপনের সাহিত্য সম্পর্কে কইতে কন। অথবা তিনি আপনের অনুপস্থিতিতে আপনার সম্পর্কে কী বলেন সেইটা জাইনা নিন। বস্তুত আমি ছাড়া আর কিছু নাই। আমি একটা কবি আমি একটা গল্পকার, আমি একটা গোষ্ঠী, আমি একটা দশক। দৌড় তো ওই দশক পর্যন্তই। বেশ দশকে দশকে থাকো, জীযো যুগ যুগ।
আমি কটুভাষী না। মিহি মোলায়েম কইরা কথা কই। কিন্তু তারপরও কথাটা কই। মত জানাই। তাই আমারে কেউ পছন্দ করে না। সভাসমিতিতে ডাকে না। আড্ডা-আলোচনায় বাদ দেয়। পাঠ আয়োজনে অনুপস্থিত রাখে। তারপরও যাই। অনাহুত হিসাবে। দর্শকের বলার সুযোগ আইলে বলি। শুনলাম, আমাকে নাকি দর্শক হিসাবেও না রাখার প্লান করছে। বেশ।
একমতের সাহিত্য, সহমতের আড্ডা আর পিঠ চুলকানির গভীরতা দিয়া আর কী হইবে?
তবে কি জনাব সাহিত্য ছাইড়া দিবো? আপনে বলবেন দিছি। লেখি না, ছাপি না। মনে হয় ছাইড়াই দিছি। না জনাব, ছাড়ি নাই। মেলাই লিখছি, যে ভাইয়ের মনে প্রশ্ন উঠবে আওয়াজ দিয়েন। তবে জনাব আপনেদের মতো দাবি করতে পারবো না। আমি অমুক, অমুক দশকে অমুক পদ লইছি। তমুকদের মধ্যে অগ্রগণ্য হইছি এমন দাবি নিয়া আগায়ে আসতে পারবো না। পোষাইলে পোষাইলো না পোষাইলে নাই।
আপনের জন্য সত্যই আমি লেখি না। তবে জনাব আপনে বলবেন আপনি কার জন্য লেখেন? আমি বলবো আমি কার জন্যই লেখি।
হা হা হা।
সম্প্রতি দাবী-দাওয়া নিয়া মেলা আলোচনা হইতেছে। সেই প্রসঙ্গে এই প্রলাপ।
শেষে হুমায়ুন আজাদের একটা প্রবচন (যদ্দুর মনে পড়ে)। উনি কইছিলেন, এইদেশ হইলো মূর্খের দেশ। তুমি যদি কও ভাই আমি কিছু না। মূর্খরা না পইড়া তোমার মুখের কথায় তোমারে কিছু না বানায়ে দিবে। আর যদি কও আমি হেনা তেনা এটা সেটা অনেক কিছু। মূর্খরা না বুইঝা সেইটাই বিশ্বাস করবে।
Amzad Sujon

Jannatun Nahar Munnee

Muiz Mahfuz

Omar Sharif Pallab
Birmingham City University

Udisa Emon

Azhar Forhad

Nuruzzaman Manik

Sujan সুজন

Sayeed Jubary

liked this note.

Tuesday, June 15, 2010

খালেদা জিয়ার বাড়ি

Wednesday, April 15, 2009 at 3:05pm on facebook

মন্ত্রিসভা খালেদা জিয়ার মইনুল রোডের বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করার সংবাদ গুরুত্ব সহকারে মিডিয়াগুলা প্রচার করলো, দেখলাম। তবে এই সংবাদ প্রচারে তারা বহুবার জেনারেল জিয়ার বিধবা স্ত্রী, তারেক-কোকোর দুর্নীতি এইসব বিষয় গুরুত্ব দিয়া উল্লেখ করছে। হরে দরে মিডিয়াগুলা খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্ট থিকা তাড়ানোর ব্যাপারে একমত হইছে এইটা বুঝা যায়। ভাল কথা। মিডিয়ার লোকেরা, বুদ্ধিজীবীরা কী কী যুক্তি দিতেছেন সেইটাও খিয়াল করলাম।
বাড়ির বরাদ্দ বাতিলের বিষয়টা জাতীয় রাজনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পরিণত হইছে। হ্ওয়ারই কথা। কারণ এই বাড়ি শুধু বাড়ি না, বরাদ্দ বাতিলও শুধু বরাদ্দ বাতিল না। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাতিলের বিষয় এইটা আসলে না। এইটা আসলে কী?
সেনাবাহিনীর সাথে বাংলাদেশের অসামরিক রাজনীতির বুঝাপড়ার নতুন মাত্রা এই বাড়ি দিয়া নির্ধারিত হইতে যাইতেছে বইলা ধারণা করা যায়। জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রীকে দুইটি বাড়ি দিছিলেন জেনারেল এরশাদ। দুইটা বাড়ির একটা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত। এরশাদ কইছেন, উনি জানতেন না যে খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন। এরশাদের জানার কথা না। কারণ এরশাদ নিশ্চিত আছিলেন যে, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের রাজনীতি জাতীয় পার্টি গঠনের মাধ্যমে বিএনপির হাত থিকা তার পকেটে গিয়া ঢুকবে। খালেদা জিয়া পলিটিক্যালি নিঃস্ব হয়া পড়বেন। তাই তিনি তৎকালে সেনাবাহিনী, দলত্যাগী বাংলাদেশী ন্যাশনালিস্ট ও ওই রাজনীতির লোকদের সহানুভূতি আকর্ষণের জন্য খালেদা জিয়াকে দুইটা বাড়ি দিছিলেন। বলা যায়, ক্যান্টনমেন্টের বাড়িতে খালেদা জিয়া সুখে আছিলেন। ওই বাড়িতেই তার রাজনৈতিক অভীপ্সার বিকাশ ঘটছিল। উনি এরশাদের দুর্বলতার সুযোগে আবারও বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী সমর্থিত ব্রিফকেস অভ্যস্ত স্যুট-টাই পরিহিত ভদ্রলোকদের জাতীয়তাবাদী ক্লাবটিকে মজবুত করেছিলেন। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদরে ব্রান্ডিং এরশাদের পকেট থেকে বের করে নিজের কবলে নিয়েছিলেন। সব মিলায়ে ৯০এর অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় আসছিলেন।
তখন ও পরে যে কোনো সময় বাংলাদেশের অপরাপর অসামরিক রাজনৈতিক শক্তিগুলা বিশ্বাস কইরা আসছে যে, মইনুল রোডের বাড়িটা খালেদা জিয়ার শক্তির অন্যতম খুঁটি। কিন্তু ওই বাড়ি থিকা তাকে বাইর কইরা দেওয়ার সাধ্য ও সাধ কারো হয় নাই। কথিত আছে, মহাপরাক্রমশালী তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করার আগে দশবার ভাবছিল শুধু ওই বাড়ির কারণে।
খালেদা জিয়া ওইখানে নিরাপদে থাকেন। সেনাবাহিনীর মনোভাব বুঝতে পারেন। রাস্তায় চলতে গিয়া অনেকের সাথে দেখাসাক্ষাৎ হয় এইটা অন্য রাজনৈতিক শক্তিগুলার চক্ষুশূল হয়া থাকতে পারে। সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে এইটারে তারা বাধা হিসাবেও দেখতে পারে। ফলে, সুযোগ পাইলে খালেদাকে সেনানিবাস ছাড়া করার সুযোগ তারা ছাড়বে না এইটা সহজবোধ্য। শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাইতে হয় যে, তিনি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে খালেদা জিয়ার নিবাস কাইড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। পিলখানায় শহীদ সেনাকর্মকর্তাদের পরিবারের বাসস্থানের জন্য শহীদ জিয়ার পরিবারের বাসভবন ছাড়তে হবে খালেদা জিয়াকে।
এর মধ্য দিয়া।
১. সেনাবাহিনীর দরদ কোন শহীদ/শহীদদের প্রতি বেশি সেটা পরীক্ষা হয়া যাবে।
২. পিলখানা শহীদদের ব্যাপারে খালেদা জিয়া কতটা স্যাক্রিফাইস করতে পারেন সেইটা বুঝা যাবে।
৩. এই বাড়ির আইনগত ভিত্তি কেমন মজবুত তা পরীক্ষা হয়ে যাবে।
৪. খালেদা জিয়াকে শেষ পর্যন্ত তাড়াতে না পারলেও আওয়ামী লীগ যে মরণ কামড় দিতে পারছিল সেইটার শক্তি পরীক্ষা হবে।
এখন প্রশ্ন, আওয়ামী লীগ তথাকথিত প্রগতিশীল রাজনীতির জিম্মাদার হিসাবে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে অধিকতর সমর্থন পাইতেছে সন্ত্রাসবিরোধী রাজনীতির নায়কদের কাছ থেকে। যে কালে যে আচার, বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো দেশে এই আচারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে প্রগতিশীল আচরণ করতে হইতেছে। স্বাভাবিকভাবে বিএনপির সাথে তাদের মারিফতি ঐক্যের বদলে এখন আওয়ামী লীগের সাথে প্রাকৃতিক মৈত্রী তৈয়ার হইছে। কিছু ঝামেলাজনক এলিমেন্ট নাই তা না। কিন্তু সেনাবাহিনীকে মোটাদাগে প্রগতিশীল ভূমিকা এখন নিতেই হবে।
এই প্রাকৃতির মৈত্রীর সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে সরিয়ে সেই মারিফতি যোগাযোগ নষ্ট করতে চাইতেছে। রাজনীতির চাল হিসাবে এইটাও খারাপ না। কিন্তু এর মধ্য দিয়া আওয়ামী লীগ বিএনপির জায়গায় নিজেকে প্রতিস্থাপন করতে চাইতেছে, যে জিনিশটা খুবই খারাপ।
খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টে থাকতে পারবেন না কেন?
কারণ ওইখানে থাইকা উনি পলিটিক্স করেন। বেশ। ওনার ওইখানে থাকা অবৈধ। দুইটা বাড়ি নেয়া অবৈধ।
তাইলে ওইখানে বৈধভাবে থাইকা যারা রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন তাদের ব্যাপারে সরকার কী বলেন?
ওইখানে না থাইকা যারা ওইখানকার চাওয়া পাওয়া রাজনীতিতে বাস্তবায়ন করেন তাদের ব্যাপারে শেখ হাসিনা কী বলেন?
দেশ সুরক্ষার জন্য যারা শপথ নিয়া অস্ত্র ধারণ করেন তারা রাজনৈতিক অভিলাষ প্রদর্শন করলে সেইটারে যে অন্যেরা উৎসাহ দেয় সেইটারে কী বলা যায়।
আমাদের সমাজে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের যে সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি তার উৎস কোথায়? সবাইরে তো এরশাদ বাড়ি দিয়া প্রতিষ্ঠা করে নাই। ধরলাম, সেনানিবাসে একা খালেদাই রিয়েল বাড়ি দখল কইরা আছেন কিন্তু যারা ভার্চুয়াল বাড়ি কইরা আছে? কবি এইখানেই নীরব।
কথা হলো আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক উদ্দেশ্য থিকা খালেদা জিয়াকে উৎখাত করতে চাইতেছে না। ফলে, ছাগমাতার তৃতীয় সন্তানের মতো যারা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রকে বেসামরিকায়নের পদক্ষেপ হিসাবে দেখতেছেন তারা ভুল দেখতেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে চোখ বুলাইলে বুঝা যায়, ভুল শীঘ্রই ভাঙিবে।

Rifat Hasan

A.N.M. Mominul Islam Mukut

Sharmee Hossain
University of Dhaka

Tarik Saifullah

Nayeemul Hossain Choudhury
East West University

Irteja S. Ali

Abdullah Mahbub Sumon

Raafiq Hariri

Omar Sharif Pallab
Birmingham City University

Tasneem Khalil
North South University

Niaz Morshed Chowdhury
TCD

Apurbo Shohag

Angelica Lima

liked this note.

পিলখানা হত্যাকাণ্ড বিষয়ে

Monday, March 30, 2009 at 6:59pm on facebook
কন্সপিরেসি থিওরি যে কয়টা সামনে আসছে সবকয়টাই দেখলাম ঠিক। সবকয়টার পক্ষে যুক্তি প্রায় অকাট্য। আমি সবকয়টাই বিশ্বাস করছি। এই ঘটনা জামাত ঘটাইতে পারে। আবার নাও ঘটাইতে পারে। এই ঘটনা জেএমবি ঘটাইতে পারে আবার নাও ঘটাইতে পারে। হইতে পারে এই ঘটনা ইনডিয়া/পাকিস্তান/আফগানিস্তান/যুক্তরাষ্ট্র/যুক্তরাজ্য ঘটাইছে। হইতে পারে, আওয়ামী লীগ/বিএনপির নেতারা এই ঘটনার পিছনে আছে। সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ সম্প্রসারিত করার উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হইতে পারে। আবার সন্ত্রাসবাদীরাই এই ঘটনা ঘটাইতে পারে। বিডিআরের আভ্যন্তরীণ ক্ষোভ থিকা এই ঘটনা ঘটতে পারে। আবার সেনাবাহিনীর অন্তর্ন্দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। উলফা এই ঘটনা ঘটাইতে পারে। সন্দেহের বাইরে কেউ নাই। কাউরেই সন্দেহের বাইরে রাখা যাইতেছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হইতেছে, তদন্ত না আসলে গণভোটের আয়োজন কইরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হইছে।
এমনও হইতে পারে যে একটা জরিপের আয়োজন করা হইলো।
সন্দেহজনক সবার নাম লিস্টে থাকলো।
জনগণ যাকে বেশি সন্দেহ করবে তাকে ধরা হইলো।
কোর্টমার্শাল/বিডিআর আইন/প্রচলিত আইনে তাদের বিচার হইলো। কোন আইনে বিচার হবে এই নিয়াও একটা ভোটাভুটি হইতে পারে।
বহুধাবিভক্ত একটা সমাজে সিদ্ধান্তে পৌছানোর আর কোনো উপায় দেখতেছি না।
আবার ব্যাপারটাকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সামলানো দরকার। তাই ভেবেচিন্তে এই সমাধান বের করলাম।
কেউ পছন্দ না করলে বা মাইন্ড খাইলে আওয়াজ দিয়েন।
Nusrat Jahan Dipa

Rifat Hasan

Chondon চন্দন

Palash Basak

Faruk Wasif

Nuruzzaman Manik

Wahida Farzeen

Omar Sharif Pallab
Birmingham City University

Nayeemul Hossain Choudhury
East West University

Abdullah Mahbub Sumon

Puspo Kona


Goutam Roy গৌতম রায়


শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন
liked this note.