Wednesday, April 15, 2009 at 3:05pm on facebook
মন্ত্রিসভা খালেদা জিয়ার মইনুল রোডের বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করার সংবাদ গুরুত্ব সহকারে মিডিয়াগুলা প্রচার করলো, দেখলাম। তবে এই সংবাদ প্রচারে তারা বহুবার জেনারেল জিয়ার বিধবা স্ত্রী, তারেক-কোকোর দুর্নীতি এইসব বিষয় গুরুত্ব দিয়া উল্লেখ করছে। হরে দরে মিডিয়াগুলা খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্ট থিকা তাড়ানোর ব্যাপারে একমত হইছে এইটা বুঝা যায়। ভাল কথা। মিডিয়ার লোকেরা, বুদ্ধিজীবীরা কী কী যুক্তি দিতেছেন সেইটাও খিয়াল করলাম।
বাড়ির বরাদ্দ বাতিলের বিষয়টা জাতীয় রাজনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পরিণত হইছে। হ্ওয়ারই কথা। কারণ এই বাড়ি শুধু বাড়ি না, বরাদ্দ বাতিলও শুধু বরাদ্দ বাতিল না। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাতিলের বিষয় এইটা আসলে না। এইটা আসলে কী?
সেনাবাহিনীর সাথে বাংলাদেশের অসামরিক রাজনীতির বুঝাপড়ার নতুন মাত্রা এই বাড়ি দিয়া নির্ধারিত হইতে যাইতেছে বইলা ধারণা করা যায়। জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রীকে দুইটি বাড়ি দিছিলেন জেনারেল এরশাদ। দুইটা বাড়ির একটা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত। এরশাদ কইছেন, উনি জানতেন না যে খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন। এরশাদের জানার কথা না। কারণ এরশাদ নিশ্চিত আছিলেন যে, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের রাজনীতি জাতীয় পার্টি গঠনের মাধ্যমে বিএনপির হাত থিকা তার পকেটে গিয়া ঢুকবে। খালেদা জিয়া পলিটিক্যালি নিঃস্ব হয়া পড়বেন। তাই তিনি তৎকালে সেনাবাহিনী, দলত্যাগী বাংলাদেশী ন্যাশনালিস্ট ও ওই রাজনীতির লোকদের সহানুভূতি আকর্ষণের জন্য খালেদা জিয়াকে দুইটা বাড়ি দিছিলেন। বলা যায়, ক্যান্টনমেন্টের বাড়িতে খালেদা জিয়া সুখে আছিলেন। ওই বাড়িতেই তার রাজনৈতিক অভীপ্সার বিকাশ ঘটছিল। উনি এরশাদের দুর্বলতার সুযোগে আবারও বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী সমর্থিত ব্রিফকেস অভ্যস্ত স্যুট-টাই পরিহিত ভদ্রলোকদের জাতীয়তাবাদী ক্লাবটিকে মজবুত করেছিলেন। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদরে ব্রান্ডিং এরশাদের পকেট থেকে বের করে নিজের কবলে নিয়েছিলেন। সব মিলায়ে ৯০এর অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় আসছিলেন।
তখন ও পরে যে কোনো সময় বাংলাদেশের অপরাপর অসামরিক রাজনৈতিক শক্তিগুলা বিশ্বাস কইরা আসছে যে, মইনুল রোডের বাড়িটা খালেদা জিয়ার শক্তির অন্যতম খুঁটি। কিন্তু ওই বাড়ি থিকা তাকে বাইর কইরা দেওয়ার সাধ্য ও সাধ কারো হয় নাই। কথিত আছে, মহাপরাক্রমশালী তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করার আগে দশবার ভাবছিল শুধু ওই বাড়ির কারণে।
খালেদা জিয়া ওইখানে নিরাপদে থাকেন। সেনাবাহিনীর মনোভাব বুঝতে পারেন। রাস্তায় চলতে গিয়া অনেকের সাথে দেখাসাক্ষাৎ হয় এইটা অন্য রাজনৈতিক শক্তিগুলার চক্ষুশূল হয়া থাকতে পারে। সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে এইটারে তারা বাধা হিসাবেও দেখতে পারে। ফলে, সুযোগ পাইলে খালেদাকে সেনানিবাস ছাড়া করার সুযোগ তারা ছাড়বে না এইটা সহজবোধ্য। শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাইতে হয় যে, তিনি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে খালেদা জিয়ার নিবাস কাইড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। পিলখানায় শহীদ সেনাকর্মকর্তাদের পরিবারের বাসস্থানের জন্য শহীদ জিয়ার পরিবারের বাসভবন ছাড়তে হবে খালেদা জিয়াকে।
এর মধ্য দিয়া।
১. সেনাবাহিনীর দরদ কোন শহীদ/শহীদদের প্রতি বেশি সেটা পরীক্ষা হয়া যাবে।
২. পিলখানা শহীদদের ব্যাপারে খালেদা জিয়া কতটা স্যাক্রিফাইস করতে পারেন সেইটা বুঝা যাবে।
৩. এই বাড়ির আইনগত ভিত্তি কেমন মজবুত তা পরীক্ষা হয়ে যাবে।
৪. খালেদা জিয়াকে শেষ পর্যন্ত তাড়াতে না পারলেও আওয়ামী লীগ যে মরণ কামড় দিতে পারছিল সেইটার শক্তি পরীক্ষা হবে।
এখন প্রশ্ন, আওয়ামী লীগ তথাকথিত প্রগতিশীল রাজনীতির জিম্মাদার হিসাবে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে অধিকতর সমর্থন পাইতেছে সন্ত্রাসবিরোধী রাজনীতির নায়কদের কাছ থেকে। যে কালে যে আচার, বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো দেশে এই আচারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে প্রগতিশীল আচরণ করতে হইতেছে। স্বাভাবিকভাবে বিএনপির সাথে তাদের মারিফতি ঐক্যের বদলে এখন আওয়ামী লীগের সাথে প্রাকৃতিক মৈত্রী তৈয়ার হইছে। কিছু ঝামেলাজনক এলিমেন্ট নাই তা না। কিন্তু সেনাবাহিনীকে মোটাদাগে প্রগতিশীল ভূমিকা এখন নিতেই হবে।
এই প্রাকৃতির মৈত্রীর সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে সরিয়ে সেই মারিফতি যোগাযোগ নষ্ট করতে চাইতেছে। রাজনীতির চাল হিসাবে এইটাও খারাপ না। কিন্তু এর মধ্য দিয়া আওয়ামী লীগ বিএনপির জায়গায় নিজেকে প্রতিস্থাপন করতে চাইতেছে, যে জিনিশটা খুবই খারাপ।
খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টে থাকতে পারবেন না কেন?
কারণ ওইখানে থাইকা উনি পলিটিক্স করেন। বেশ। ওনার ওইখানে থাকা অবৈধ। দুইটা বাড়ি নেয়া অবৈধ।
তাইলে ওইখানে বৈধভাবে থাইকা যারা রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন তাদের ব্যাপারে সরকার কী বলেন?
ওইখানে না থাইকা যারা ওইখানকার চাওয়া পাওয়া রাজনীতিতে বাস্তবায়ন করেন তাদের ব্যাপারে শেখ হাসিনা কী বলেন?
দেশ সুরক্ষার জন্য যারা শপথ নিয়া অস্ত্র ধারণ করেন তারা রাজনৈতিক অভিলাষ প্রদর্শন করলে সেইটারে যে অন্যেরা উৎসাহ দেয় সেইটারে কী বলা যায়।
আমাদের সমাজে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের যে সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি তার উৎস কোথায়? সবাইরে তো এরশাদ বাড়ি দিয়া প্রতিষ্ঠা করে নাই। ধরলাম, সেনানিবাসে একা খালেদাই রিয়েল বাড়ি দখল কইরা আছেন কিন্তু যারা ভার্চুয়াল বাড়ি কইরা আছে? কবি এইখানেই নীরব।
কথা হলো আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক উদ্দেশ্য থিকা খালেদা জিয়াকে উৎখাত করতে চাইতেছে না। ফলে, ছাগমাতার তৃতীয় সন্তানের মতো যারা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রকে বেসামরিকায়নের পদক্ষেপ হিসাবে দেখতেছেন তারা ভুল দেখতেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে চোখ বুলাইলে বুঝা যায়, ভুল শীঘ্রই ভাঙিবে।
Rifat Hasan
A.N.M. Mominul Islam Mukut
Sharmee Hossain
University of Dhaka
Tarik Saifullah
Nayeemul Hossain Choudhury
East West University
Irteja S. Ali
Abdullah Mahbub Sumon
Raafiq Hariri
Omar Sharif Pallab
Birmingham City University
Tasneem Khalil
North South University
Niaz Morshed Chowdhury
TCD
Apurbo Shohag
Angelica Lima
liked this note.
Tuesday, June 15, 2010
পিলখানা হত্যাকাণ্ড বিষয়ে
Monday, March 30, 2009 at 6:59pm on facebook
কন্সপিরেসি থিওরি যে কয়টা সামনে আসছে সবকয়টাই দেখলাম ঠিক। সবকয়টার পক্ষে যুক্তি প্রায় অকাট্য। আমি সবকয়টাই বিশ্বাস করছি। এই ঘটনা জামাত ঘটাইতে পারে। আবার নাও ঘটাইতে পারে। এই ঘটনা জেএমবি ঘটাইতে পারে আবার নাও ঘটাইতে পারে। হইতে পারে এই ঘটনা ইনডিয়া/পাকিস্তান/আফগানিস্তান/যুক্তরাষ্ট্র/যুক্তরাজ্য ঘটাইছে। হইতে পারে, আওয়ামী লীগ/বিএনপির নেতারা এই ঘটনার পিছনে আছে। সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ সম্প্রসারিত করার উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হইতে পারে। আবার সন্ত্রাসবাদীরাই এই ঘটনা ঘটাইতে পারে। বিডিআরের আভ্যন্তরীণ ক্ষোভ থিকা এই ঘটনা ঘটতে পারে। আবার সেনাবাহিনীর অন্তর্ন্দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। উলফা এই ঘটনা ঘটাইতে পারে। সন্দেহের বাইরে কেউ নাই। কাউরেই সন্দেহের বাইরে রাখা যাইতেছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হইতেছে, তদন্ত না আসলে গণভোটের আয়োজন কইরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হইছে।
এমনও হইতে পারে যে একটা জরিপের আয়োজন করা হইলো।
সন্দেহজনক সবার নাম লিস্টে থাকলো।
জনগণ যাকে বেশি সন্দেহ করবে তাকে ধরা হইলো।
কোর্টমার্শাল/বিডিআর আইন/প্রচলিত আইনে তাদের বিচার হইলো। কোন আইনে বিচার হবে এই নিয়াও একটা ভোটাভুটি হইতে পারে।
বহুধাবিভক্ত একটা সমাজে সিদ্ধান্তে পৌছানোর আর কোনো উপায় দেখতেছি না।
আবার ব্যাপারটাকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সামলানো দরকার। তাই ভেবেচিন্তে এই সমাধান বের করলাম।
কেউ পছন্দ না করলে বা মাইন্ড খাইলে আওয়াজ দিয়েন।
Nusrat Jahan Dipa
Rifat Hasan
Chondon চন্দন
Palash Basak
Faruk Wasif
Nuruzzaman Manik
Wahida Farzeen
Omar Sharif Pallab
Birmingham City University
Nayeemul Hossain Choudhury
East West University
Abdullah Mahbub Sumon
Puspo Kona
Goutam Roy গৌতম রায়
শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন
liked this note.
কন্সপিরেসি থিওরি যে কয়টা সামনে আসছে সবকয়টাই দেখলাম ঠিক। সবকয়টার পক্ষে যুক্তি প্রায় অকাট্য। আমি সবকয়টাই বিশ্বাস করছি। এই ঘটনা জামাত ঘটাইতে পারে। আবার নাও ঘটাইতে পারে। এই ঘটনা জেএমবি ঘটাইতে পারে আবার নাও ঘটাইতে পারে। হইতে পারে এই ঘটনা ইনডিয়া/পাকিস্তান/আফগানিস্তান/যুক্তরাষ্ট্র/যুক্তরাজ্য ঘটাইছে। হইতে পারে, আওয়ামী লীগ/বিএনপির নেতারা এই ঘটনার পিছনে আছে। সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ সম্প্রসারিত করার উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হইতে পারে। আবার সন্ত্রাসবাদীরাই এই ঘটনা ঘটাইতে পারে। বিডিআরের আভ্যন্তরীণ ক্ষোভ থিকা এই ঘটনা ঘটতে পারে। আবার সেনাবাহিনীর অন্তর্ন্দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। উলফা এই ঘটনা ঘটাইতে পারে। সন্দেহের বাইরে কেউ নাই। কাউরেই সন্দেহের বাইরে রাখা যাইতেছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হইতেছে, তদন্ত না আসলে গণভোটের আয়োজন কইরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হইছে।
এমনও হইতে পারে যে একটা জরিপের আয়োজন করা হইলো।
সন্দেহজনক সবার নাম লিস্টে থাকলো।
জনগণ যাকে বেশি সন্দেহ করবে তাকে ধরা হইলো।
কোর্টমার্শাল/বিডিআর আইন/প্রচলিত আইনে তাদের বিচার হইলো। কোন আইনে বিচার হবে এই নিয়াও একটা ভোটাভুটি হইতে পারে।
বহুধাবিভক্ত একটা সমাজে সিদ্ধান্তে পৌছানোর আর কোনো উপায় দেখতেছি না।
আবার ব্যাপারটাকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সামলানো দরকার। তাই ভেবেচিন্তে এই সমাধান বের করলাম।
কেউ পছন্দ না করলে বা মাইন্ড খাইলে আওয়াজ দিয়েন।
Nusrat Jahan Dipa
Rifat Hasan
Chondon চন্দন
Palash Basak
Faruk Wasif
Nuruzzaman Manik
Wahida Farzeen
Omar Sharif Pallab
Birmingham City University
Nayeemul Hossain Choudhury
East West University
Abdullah Mahbub Sumon
Puspo Kona
Goutam Roy গৌতম রায়
শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন
liked this note.
জানি বিশ্বাস করবেন না তবু
Monday, March 23, 2009 at 9:15pm on facebook
মারা যাওয়ার বছর খানেক আগে সেলিম আল দীনের সঙ্গে আমার শেষ দেখা হইছিল। সে বার স্যার আমারে ফোন দিয়া প্রথম মহুয়া উৎসবের স্মৃতি রোমন্থন করার মানসে আমারে জাহাঙ্গীরনগর যাইতে কইছিলেন। আমিও বহুদিন পর স্যারের ফোন পায়া নরম মন নিয়া ক্যাম্পাসে গিয়া উপস্থিত হইছিলাম। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর স্যারের বাসায় বড় সাইজের কই মাছ দিয়া ভাত খায়া ঢাকার পথে রওনা হইছিলাম। স্যারের সঙ্গে সেই আমার শেষ দেখা।
মৃত্যুর আগে পরে আর দেখা হয় নাই। স্যারের ভুলে দুইবার ফোনে কথা হইছিল। দুইবারই স্যার কোনো এক ডক্টর মাহবুবকে খুঁজতেছিলেন। প্রথমবার জিগাইলেন, ড. মাহবুব বলছেন? আমি বললাম, স্যার আমারে তো আপনেরা ডক্টরেট দিলেন না। এমফিলেও আমি ভর্তি হই নাই। ভুল করে ফোন করলেও সেদিন স্যারের সাথে মেলা কথা হইছিল। কুশলাদি বিনিময় হইছিল। পরের বার একইভাবে ফোন কইরা স্যার ড. মাহবুবকে খোঁজ করার পর আমি আর কূটাভাস না করে বললাম, স্যার আমি মাহবুব মোর্শেদ। মনে হইলো আগের বারের ঘটনা উনি ভুলে গেছেন। বললেন, জরুরি দরকার ড. মাহবুবকে। এখন রাখি, পরে কথা হবে তোর সাথে। তাড়াহুড়ার মধ্যে আর ডক্টর মাহবুবের পরিচয় জানা হয় নাই। স্যারের সাথে আর কথাও হয় নাই। মাঝে ভাবছিলাম ফোন দিবো। আজ দেই কাল দেই করে করে আর দেয়া হয় নাই ফাইনালি। উনি যে এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন এইটা আমি বুঝতে পারি নাই। অথচ আমার বুঝা উচিত আছিল।
সেলিম আল দীন মারা যাওয়ার পর ল্যাব এইডে গেছিলাম। শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ পর্যন্ত গিয়া ফিরে আসছিলাম। তার শুভানুধ্যায়ী বন্ধু অনেকের সাথে দেখা হইলেও তার সাথে আর সাক্ষাৎ হয় নাই। মাঝে মাঝে ভুল হয়। মনে হয় উনি মনে হয় বেঁচে আছেন। জাহাঙ্গীরনগরে গেলেই দেখা হবে। সময় করে একদিন গেলেই দেখা হবে। এইটা স্রেফ মনে হওয়ার বাইরে কিছু না। আমি নিশ্চিত সেলিম আল দীন আর বেঁচে নাই। তার স্মরণোৎসব হয়ে গেছে। তার নামে সেমিনার সিম্পোজিয়াম চলতেছে। এইগুলা দেখলে আর সন্দেহ থাকে না যে উনি নাই।
কাল রাতে হঠাৎ বালিশের নিচে রাখা ফোনের ভাইব্রেশনে অন্ধের মতো হাত বাড়িয়ে দিছিলাম অভ্যাসবশত। এরকমভাবে ফোন ধরার অভ্যাস আমার আছে। তবে ঘুমের মধ্যে নাম্বার দেখি না। ফোন ধরে কথা শুনে পরিচয় বোঝার চেষ্টা করি। এরকম একটা ফোন কালকেও আসছিল। আমি যথারীতি বালিশের নিচে হাত চালায়ে ফোনটা ধরে খুব অবাক হয়া গেলাম। স্মৃতি আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। সেলিম স্যারের ফোন। উনি ফোনের শুরুতে হ্যালো বা এইরকম কোনো কথা বলতেন না। সেইরকমভাবেই সরসরি প্রসঙ্গে ঢুকে গেলেন। বললেন, লেখাটা তো ধরলি না?
কোন লেখা স্যার, আমি তার কণ্ঠস্বর শুনে কোনো সন্দেহ পোষণ না করেই বুঝলাম উনিই।
কোন লেখা সেটাও ভুলে গেলি? কাল সকালে উঠে ভেবে বের করে আমাকে ফোন দিস।
আমি ভাবলাম জিজ্ঞেস করি, উনি এত রাত পর্যন্ত জেগে আছেন কেন?
প্রশ্নটা ঠোঁটে আসার আগেই উনি লাইন কেটে দিলেন।
কমপ্লিট নীরবতা না হইলে স্যার ঘুমাইতে পারতেন না। আমার মনে হইলো হয় উনি লিখতেছেন নয়তো কোনো কারণে ঘুম আসতেছে না। কিন্তু স্বাভাবিক হিসাবে আমারে ফোন দেওয়ার কথা না।
বুঝতে পারলাম না, স্যার কোন লেখার কথা বুঝাইতে চাইলেন। ভাবতে ভাবতে আবার ঘুমায়ে পড়লাম।
সকালে বউ অফিসে যাওয়া উপলক্ষে আমাকে ডেকে তুললে জেগে উঠলাম। তাকে বিদায় দিয়ে টুকিটাকি কিছু কাজ করে টিভির রিমোর্ট হাতে নিছি অমনি স্যারের কথা মনে পইড়া গেল।
অর্থাৎ প্রয়াত সেলিম আল দীন আমাকে ফোন করছিলেন রাতে। নিজে থেকে একটা হাসি আমার মুখে দেখা দিয়েই মিলায়ে গেল। মনে মনে বললাম, সেলিম স্যারের পক্ষেই এমনে স্বপ্নের মধ্যেও তদারকি জারি রাখা সম্ভব। কিন্তু উনি কোন লেখার কথা জিগাইলেন? ওনার জীবিত কালে আমি বলছিলাম, স্যার আপনার যথাযথ মূল্যায়ন যাতে হয় এইজন্য আমি একটা বই লিখবো। সেই বইটার কথা না তো?
অনেকেই তো লিখতেছে। এর মধ্যে আমার কথাই কেন ওনার মনে হইলো। বিশেষ কইরা। নাটকের আমি কী বুঝি।
এইসব ভাবতে ভাবতে ভয়ে ভয়ে ফোনটা হাতে নিয়া রিসিভড কল লিস্টটা দেখার জন্য বাটন চাপলাম। সেখানে সেলিম আল দীনের নাম্বার থাকবে না এইটা দুই দিনের শিশুও জানে। তাই না?
Muzib Mehdy মুজিব মেহদী
Gitiara Nasreen
Mamun M. Aziz
Niaz Morshed Chowdhury
TCD
Anika Shah
Omar Sharif Pallab
Birmingham City University
Azfar Hussain
Grand Valley State
Khaled Hossain
Bibek Xed
N.h. Sarja সার্জা
Nayeemul Hossain Choudhury
East West University
Puspo Kona
শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন
liked this note.
মারা যাওয়ার বছর খানেক আগে সেলিম আল দীনের সঙ্গে আমার শেষ দেখা হইছিল। সে বার স্যার আমারে ফোন দিয়া প্রথম মহুয়া উৎসবের স্মৃতি রোমন্থন করার মানসে আমারে জাহাঙ্গীরনগর যাইতে কইছিলেন। আমিও বহুদিন পর স্যারের ফোন পায়া নরম মন নিয়া ক্যাম্পাসে গিয়া উপস্থিত হইছিলাম। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর স্যারের বাসায় বড় সাইজের কই মাছ দিয়া ভাত খায়া ঢাকার পথে রওনা হইছিলাম। স্যারের সঙ্গে সেই আমার শেষ দেখা।
মৃত্যুর আগে পরে আর দেখা হয় নাই। স্যারের ভুলে দুইবার ফোনে কথা হইছিল। দুইবারই স্যার কোনো এক ডক্টর মাহবুবকে খুঁজতেছিলেন। প্রথমবার জিগাইলেন, ড. মাহবুব বলছেন? আমি বললাম, স্যার আমারে তো আপনেরা ডক্টরেট দিলেন না। এমফিলেও আমি ভর্তি হই নাই। ভুল করে ফোন করলেও সেদিন স্যারের সাথে মেলা কথা হইছিল। কুশলাদি বিনিময় হইছিল। পরের বার একইভাবে ফোন কইরা স্যার ড. মাহবুবকে খোঁজ করার পর আমি আর কূটাভাস না করে বললাম, স্যার আমি মাহবুব মোর্শেদ। মনে হইলো আগের বারের ঘটনা উনি ভুলে গেছেন। বললেন, জরুরি দরকার ড. মাহবুবকে। এখন রাখি, পরে কথা হবে তোর সাথে। তাড়াহুড়ার মধ্যে আর ডক্টর মাহবুবের পরিচয় জানা হয় নাই। স্যারের সাথে আর কথাও হয় নাই। মাঝে ভাবছিলাম ফোন দিবো। আজ দেই কাল দেই করে করে আর দেয়া হয় নাই ফাইনালি। উনি যে এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন এইটা আমি বুঝতে পারি নাই। অথচ আমার বুঝা উচিত আছিল।
সেলিম আল দীন মারা যাওয়ার পর ল্যাব এইডে গেছিলাম। শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ পর্যন্ত গিয়া ফিরে আসছিলাম। তার শুভানুধ্যায়ী বন্ধু অনেকের সাথে দেখা হইলেও তার সাথে আর সাক্ষাৎ হয় নাই। মাঝে মাঝে ভুল হয়। মনে হয় উনি মনে হয় বেঁচে আছেন। জাহাঙ্গীরনগরে গেলেই দেখা হবে। সময় করে একদিন গেলেই দেখা হবে। এইটা স্রেফ মনে হওয়ার বাইরে কিছু না। আমি নিশ্চিত সেলিম আল দীন আর বেঁচে নাই। তার স্মরণোৎসব হয়ে গেছে। তার নামে সেমিনার সিম্পোজিয়াম চলতেছে। এইগুলা দেখলে আর সন্দেহ থাকে না যে উনি নাই।
কাল রাতে হঠাৎ বালিশের নিচে রাখা ফোনের ভাইব্রেশনে অন্ধের মতো হাত বাড়িয়ে দিছিলাম অভ্যাসবশত। এরকমভাবে ফোন ধরার অভ্যাস আমার আছে। তবে ঘুমের মধ্যে নাম্বার দেখি না। ফোন ধরে কথা শুনে পরিচয় বোঝার চেষ্টা করি। এরকম একটা ফোন কালকেও আসছিল। আমি যথারীতি বালিশের নিচে হাত চালায়ে ফোনটা ধরে খুব অবাক হয়া গেলাম। স্মৃতি আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। সেলিম স্যারের ফোন। উনি ফোনের শুরুতে হ্যালো বা এইরকম কোনো কথা বলতেন না। সেইরকমভাবেই সরসরি প্রসঙ্গে ঢুকে গেলেন। বললেন, লেখাটা তো ধরলি না?
কোন লেখা স্যার, আমি তার কণ্ঠস্বর শুনে কোনো সন্দেহ পোষণ না করেই বুঝলাম উনিই।
কোন লেখা সেটাও ভুলে গেলি? কাল সকালে উঠে ভেবে বের করে আমাকে ফোন দিস।
আমি ভাবলাম জিজ্ঞেস করি, উনি এত রাত পর্যন্ত জেগে আছেন কেন?
প্রশ্নটা ঠোঁটে আসার আগেই উনি লাইন কেটে দিলেন।
কমপ্লিট নীরবতা না হইলে স্যার ঘুমাইতে পারতেন না। আমার মনে হইলো হয় উনি লিখতেছেন নয়তো কোনো কারণে ঘুম আসতেছে না। কিন্তু স্বাভাবিক হিসাবে আমারে ফোন দেওয়ার কথা না।
বুঝতে পারলাম না, স্যার কোন লেখার কথা বুঝাইতে চাইলেন। ভাবতে ভাবতে আবার ঘুমায়ে পড়লাম।
সকালে বউ অফিসে যাওয়া উপলক্ষে আমাকে ডেকে তুললে জেগে উঠলাম। তাকে বিদায় দিয়ে টুকিটাকি কিছু কাজ করে টিভির রিমোর্ট হাতে নিছি অমনি স্যারের কথা মনে পইড়া গেল।
অর্থাৎ প্রয়াত সেলিম আল দীন আমাকে ফোন করছিলেন রাতে। নিজে থেকে একটা হাসি আমার মুখে দেখা দিয়েই মিলায়ে গেল। মনে মনে বললাম, সেলিম স্যারের পক্ষেই এমনে স্বপ্নের মধ্যেও তদারকি জারি রাখা সম্ভব। কিন্তু উনি কোন লেখার কথা জিগাইলেন? ওনার জীবিত কালে আমি বলছিলাম, স্যার আপনার যথাযথ মূল্যায়ন যাতে হয় এইজন্য আমি একটা বই লিখবো। সেই বইটার কথা না তো?
অনেকেই তো লিখতেছে। এর মধ্যে আমার কথাই কেন ওনার মনে হইলো। বিশেষ কইরা। নাটকের আমি কী বুঝি।
এইসব ভাবতে ভাবতে ভয়ে ভয়ে ফোনটা হাতে নিয়া রিসিভড কল লিস্টটা দেখার জন্য বাটন চাপলাম। সেখানে সেলিম আল দীনের নাম্বার থাকবে না এইটা দুই দিনের শিশুও জানে। তাই না?
Muzib Mehdy মুজিব মেহদী
Gitiara Nasreen
Mamun M. Aziz
Niaz Morshed Chowdhury
TCD
Anika Shah
Omar Sharif Pallab
Birmingham City University
Azfar Hussain
Grand Valley State
Khaled Hossain
Bibek Xed
N.h. Sarja সার্জা
Nayeemul Hossain Choudhury
East West University
Puspo Kona
শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন
liked this note.
জেএমবি
Wednesday, March 18, 2009 at 12:48pm on facebook
দেশ আজ গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। মাত্র দু মাস আগে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসছে। যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না। যারা গণতন্ত্রের শত্রু তারা এই নবীন সরকারটিকে দুর্বল করার চেষ্টায় লিপ্ত। বাংলাদেশ সন্ত্রাস বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করায় জঙ্গিবাদীরা এই সরকারকে বিপদে ফেলতে চাইতেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্নে এরা বাধা দিতে চাইতেছে। ভবিষ্যতে আরো নানা হামলার চেষ্টা করতেছে, বইলা পত্রপত্রিকায় খবর ছাপা হইতেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ফেছনে আছে জেএমবি। জেএমবির নেতাদের ফাসি হইছে। কিন্তু তারা নতুনভাবে সংগঠিত হয়ে নতুন হামলা করতেছে। জেএমবির হাত কতদূর বিস্তৃত তা জানতে তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডগুলোর খতিয়ান দেখলে বুঝা যাবে।
১. পিলখানা হত্যাকাণ্ড। দেশের সুশৃংখল একটি বাহিনীতে ঢুকে জেএমবি সে বাহিনীর অফিসারদের নৃশংসভাবে হত্যা করলো। অথচ আমাদের র্যাব-পুলিশ তাদের প্রতিদিনই গ্রেফতার করে যাইতেছে। জঙ্গিরা দেশরক্ষা বাহিনীতে ঢুকে গেলেও কেউ বুঝলো না।
২. বসুন্ধরা অগ্নিকাণ্ড। নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে না। তার মানে কেউ যদি বলে, এটা জেএমবি ঘটাইছে তাহলে কেউ প্রতিবাদ করবে না।
৩. অর্থনৈতিক মন্দা, অসন্তোষ, সরকারের অদক্ষতা, আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণার কারণে মালেশিয়া সহ নানা দেশ থিকা শ্রমিক দেশে ফেরত আসেতেছে। খবরে জানলাম, এর পিছনের স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তির মদদ পাওয়া যাইতেছে। আর একটু এগিয়ে বলা সম্ভব, এটা জেএমবির বৈদেশিক উইংয়ের কারসাজি।
৪.ছাত্রলীগের সন্ত্রাসে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রক্তাক্ত। অনেকগুলো বন্ধ, বাকীগুলা বন্ধ হওয়ার পথে। ধারণা করা যায়, জেএমবি ছাত্রলীগের মধ্যে ঢুকে নাশকতা ঘটিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দেয়ার জন্য এরকম করতেছে।
৫. সচিবালয়ে সচিবরা কাজ করেতেছে না। দেশ পিছিয়ে পড়ছে, প্রশাসনিক কাজকর্মে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কেউ যদি একেও জেএমবির কাজ বলে তাইলে কিছু করার নাই।
এখন থেকে কেউ দোষ করলে নন্দঘোষের ওপর না চাপিয়ে জেএমবির ওপর চাপানো যাবে।
জেএমবির হাত থেকে দেশ রক্ষার কোনো বিকল্প নাই।
আসুন আমরা জেএমবিকে প্রতিরোধ করি। জেএমবির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলি।
Sayeed Jubary
Ojhor Srabon
Mohammad Arju
University of Dhaka
Rifat Hasan
Tamal Tml
Nuruzzaman Manik
Niaz Morshed Chowdhury
TCD
Sohel Hasan
Faruk Wasif
Puspo Kona
Kalo Kali Das
liked this
দেশ আজ গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। মাত্র দু মাস আগে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসছে। যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না। যারা গণতন্ত্রের শত্রু তারা এই নবীন সরকারটিকে দুর্বল করার চেষ্টায় লিপ্ত। বাংলাদেশ সন্ত্রাস বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করায় জঙ্গিবাদীরা এই সরকারকে বিপদে ফেলতে চাইতেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্নে এরা বাধা দিতে চাইতেছে। ভবিষ্যতে আরো নানা হামলার চেষ্টা করতেছে, বইলা পত্রপত্রিকায় খবর ছাপা হইতেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ফেছনে আছে জেএমবি। জেএমবির নেতাদের ফাসি হইছে। কিন্তু তারা নতুনভাবে সংগঠিত হয়ে নতুন হামলা করতেছে। জেএমবির হাত কতদূর বিস্তৃত তা জানতে তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডগুলোর খতিয়ান দেখলে বুঝা যাবে।
১. পিলখানা হত্যাকাণ্ড। দেশের সুশৃংখল একটি বাহিনীতে ঢুকে জেএমবি সে বাহিনীর অফিসারদের নৃশংসভাবে হত্যা করলো। অথচ আমাদের র্যাব-পুলিশ তাদের প্রতিদিনই গ্রেফতার করে যাইতেছে। জঙ্গিরা দেশরক্ষা বাহিনীতে ঢুকে গেলেও কেউ বুঝলো না।
২. বসুন্ধরা অগ্নিকাণ্ড। নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে না। তার মানে কেউ যদি বলে, এটা জেএমবি ঘটাইছে তাহলে কেউ প্রতিবাদ করবে না।
৩. অর্থনৈতিক মন্দা, অসন্তোষ, সরকারের অদক্ষতা, আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণার কারণে মালেশিয়া সহ নানা দেশ থিকা শ্রমিক দেশে ফেরত আসেতেছে। খবরে জানলাম, এর পিছনের স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তির মদদ পাওয়া যাইতেছে। আর একটু এগিয়ে বলা সম্ভব, এটা জেএমবির বৈদেশিক উইংয়ের কারসাজি।
৪.ছাত্রলীগের সন্ত্রাসে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রক্তাক্ত। অনেকগুলো বন্ধ, বাকীগুলা বন্ধ হওয়ার পথে। ধারণা করা যায়, জেএমবি ছাত্রলীগের মধ্যে ঢুকে নাশকতা ঘটিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দেয়ার জন্য এরকম করতেছে।
৫. সচিবালয়ে সচিবরা কাজ করেতেছে না। দেশ পিছিয়ে পড়ছে, প্রশাসনিক কাজকর্মে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কেউ যদি একেও জেএমবির কাজ বলে তাইলে কিছু করার নাই।
এখন থেকে কেউ দোষ করলে নন্দঘোষের ওপর না চাপিয়ে জেএমবির ওপর চাপানো যাবে।
জেএমবির হাত থেকে দেশ রক্ষার কোনো বিকল্প নাই।
আসুন আমরা জেএমবিকে প্রতিরোধ করি। জেএমবির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলি।
Sayeed Jubary
Ojhor Srabon
Mohammad Arju
University of Dhaka
Rifat Hasan
Tamal Tml
Nuruzzaman Manik
Niaz Morshed Chowdhury
TCD
Sohel Hasan
Faruk Wasif
Puspo Kona
Kalo Kali Das
liked this
Subscribe to:
Posts (Atom)