Thursday, June 17, 2010

ই বুক প্রসঙ্গে

Thursday, May 7, 2009 at 7:38pm on facebook
ই-বুক নিয়া লেখকরা কী ভাবেন এইটা জানার ইচ্ছা থেকে নোটটা লিখতেছি। লেখকদের মধ্যে একটা বদ্ধমূল ধারণা হইলো, ই-বুক করলে বইয়ের বিক্রি কমে যাবে। ঘটনাটা আসলে কী? এইটা জানতে একদিন আনিস ভাইয়ের (আনিসুল হক) সাথে কথা বলছিলাম। উনি কইলেন, ই-বুক করার পর বইয়ের বিক্রি কমে না, বরং বাড়ে। আনিসুল হকের 'মা' বইটা বৈধভাবে ই-বুক হইছে। প্রচুর ডাউনলোড হইছে। তাতে বইটার পাঠক বাড়ছে বই কমে নাই।
আমি আসলে ই-বুক নিয়া জানতে বা বুঝতে শিখছি অল্প দিন হইছে। অল্পবুদ্ধি ভয়ংকর। হঠাৎ সেদিন মনে হইলো, সুব্রতদার 'পুলিপোলাও' বইটা ই-বুক আকারে থাকলে সুবিধা হইতো। পুলিপোলাও আসলে কিনছিল শুভাশিষ সিনহা। আমি ওর কাছ থেকে নিয়া পড়ছিলাম। এখন আবার পড়ার ইচ্ছা করতেছে। পাইতেছি না। ই-বুক থাকলে ডাউনলোড কইরা পড়তে পারতাম। এই রকম মেলা বইয়ের কথা বলা যায়, যেইগুলা বাজারে নাই, সহসা ছাপা হওয়ার সম্ভাবনাও নাই। আবার পড়াও দরকার। এরকম বইগুলা হাতের নাগালে থাকলে ভাল।
অদিতি ফাল্গুনীর 'ইমানুয়েলের গৃহপ্রবেশ' বইটার কথা মনে পড়তেছে। বইটা অনেকেই পড়তে চায়। কিন্তু পাওয়া যায় না। অনেক লেখকের প্রথম বইয়ের কথা বলা যায়, যেইগুলা মনে হয় ছাপা অবস্থায় লেখকের কাছেও নাই। যেমন কামরুজ্জামান কামুর 'কবি মুখপত্রহীন'। নতুন পাঠকের কাছে বইগুলা পৌঁছাইতেছে না।
কথা হইলো, কী করা যায়? আমাদের প্রকাশকরা বই ছাপে ৩০০-৫০০ কপি। প্রথমবার শেষ দিনে মেলায় বই আইনা কিছু বেচে। আজিজ মার্কেটে দোকানপ্রতি ৫ কপি দেয়। এরপর বাকী বই বাঁধাই হইলো না নীলক্ষেতে গেল খবর নাই। কারো ভাগ্য ভাল হইলে মেলার মাঝামাঝি বই আসতে পারে। তখন ৮০-১২০ কপি বেচা হয়। ধরা যাক ২০০ কপিই বেচা হইলো। পত্রিকা অফিসে ২০ কপি। লেখকের নিজের কাছে ৫ কপি থাকলো। এইতো হিসাব। তাইলে পাঠক তো পাইতেছে না। ই-বুক করলে অন্তত পাঠক চাইলে পাইতে পারে।
ভাল বইগুলার ই-বুক এক জায়গায় জড়ো করার জন্য একটা ওয়েবসাইট করার চিন্তা করতেছি। লেখকদের অনুমতি সাপেক্ষে বইগুলা সেইখানে থাকতে পারে। একটা জায়গা তৈরি করা যাইতে পারে যেইখানে গেলে ভাল কিছু বই পাওয়া যাইতে পারে। সেই বইগুলার প্রচারণাও করা যাইতে পারে।
যাই হউক, ফেসবুকে আমি একটা পেজ খুলছি। ই-বুক ও ই ম্যাগাজিন নামে। আপনাদের পরামর্শ পাইলে আগানো যাইতে পারে। কী বলেন?
Ireen Sultana

Mostofa Kamal Chowdhury

আসাদ ইকবাল শান্ত

Trivuz ত্রিভুজ

Nokshi নকশী

Salah Uddin Shuvro

Rokonuzzaman রোকন
Jahangirnagar University

Tanim Humayun

Sayeed Jubary

Mamunur Rahman
Bangladesh University of Eng and Tech

Salahuddin Ferdaus

Nafees Imtiaz Pial

Sujan সুজন

Jannatun Nahar Munnee

Kalo Kali Das


বৃষ্টির গান


liked this note.

দাবী-দাওয়া ও দখলদারির সাহিত্য

Thursday, April 23, 2009 at 1:23pm on face book
একবার এক লেখক বন্ধু আলাপ শুরু করলেন এমনে। কইতেছিলেন, তোমরা যেমনে লেখো...। আমি নিপ ইন দ্য বাড খেললাম। বললাম, আমার কোনো গল্প তো আপনে পড়েন নাই। আমি একেবারে অনুমানে কইছি। দেখি উনি একেবারে কাবু হয়া গেলেন। আমি কইলাম, শুনেন পড়তে হবে এমন আমি কইতেছি না। তলস্তয়ও তো আপনে পড়েন নাই। তাতে কী? কিন্তু না পইড়া কথা বলা ঠিক না।
চারদিকে এইরাম ঘটনা প্রচুর। কেউ হয়তো প্রশংসা কইরা বসলো। চাইপা ধরেন, দেখবেন পড়ে নাই। এমনেই কইতেছে। কোনো ধান্দা আছে। যারা নিন্দা করে তারা কিছু কিছু পড়ে বইলা আমার ধারণা। তবে ইদানিং অনেক নিন্দুক দেখতেছি, যারা না পইড়া নিন্দার মতো সিরিয়াস কাজটা করেন।
আরও ঘটনা ঘটে, যেমন ধরেন আমি গত দুই বছর লেখতেছি না তেমন গল্পগাছা। তো, কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী আছে। দেখা হইলে কইবে, মেলাদিন লেখতেছো না। আমি দুইএকজনরে চ্যালেঞ্জ কইরা দেখছি। আমার লেখা না লেখায় ওনাদের কিছু আসে যায় নাই। কথার কথা হিসাবে কয় এইগুলা। আসলে গল্প কিছু পড়ে নাই।
এইরাম এক শুভানুধ্যায়ীর সঙ্গে লাস্ট সপ্তায় দেখা। কয়, মেলাদিন তো লেখেন না মোর্শেদ। আমি বক্র হাসি দিয়া কইলাম, জাতিকে আর কত দিবো? ছেচল্লিশটা গল্প লেখলাম। জাতি এইগুলা বুইঝা সারুক। দেন আবার লেখায় হাত দিবো। সংখ্যা একটা ব্যাপার। উনি বিস্ময় প্রকাশ কইরা কন, ৪৬? এইগুলা কোথায় ছাপা হইছে?
লে হালুয়া। কোথায় ছাপা হইছে এখন ওনাকে বলতে হবে। অছাপা একটাও নাই, এইটা খালি কইলাম। সাথে কইলাম, এই যে আপনেরা যারা খালি নিজের লেখা মনোযোগ দিয়া পড়েন তাদের নিয়া সমস্যা। মনে করেন, ইতিহাসের সেন্টারে আপনেরা বইসা আছেন। গায়ের ওপর দিয়া হাতি হাঁইটা গেলেও মনে করেন মাছি বসছে। এমনে বাংলা সাহিত্যের সাড়ে সর্বনাশ করতেছেন। আত্মচোদনের একশেষ কইরা দিতেছেন। রেফারেন্স দিতে গেলেও নিজের সাহিত্য থেকে দেন। অশ্লীল কথা শুইনা উনি একটু সম্বিত ফিরে পাইলেন। যুক্তি দিতে চাইলেন, কইতে থাকলেন, উল্লেখযোগ্য পত্রিকায় যদি আপনের লেখা ছাপা না হয়........। আমি কইলাম, তাইলে আর আমারে নিয়া কথা কেন? আমি লিখি না লিখি সেইটা জানতে চায়া আমার শান্তি বিঘ্ন করেন ক্যান?
মুসলমানদের বাংলা সাহিত্য হইলো মামা-চাচাদের সাহিত্য। ভাইস্তা-ভাগ্নিদের সাহিত্যের খুব কদর। আপনে ভাইস্তা-ভাগ্নি হয়া যান সমস্যা হবে না। বাৎসল্য, প্রীতি আর প্রেমের দুনিয়ায় আপনেরও কিছু জায়গা হবে। আর আছে আত্মরতি সোজা বাংলায় যারে কয় আত্মচোদন। বাংলাদেশে যে কাউরে কইলে নিজের ওপর একটা বক্তৃতা দিতে পারবে, একটা পিএইচডি করতে পারবে। আর এই জ্ঞানীরে গরুর রচনা লিখতে কন, দেখবেন খালি মাঠে গরু খুঁজতেছে।
আমার কথা বিশ্বাস না করলে, কবি বন্ধু আপনের সবচেয়ে কাছের কবিবন্ধুরে আপনের সাহিত্য সম্পর্কে কইতে কন। অথবা তিনি আপনের অনুপস্থিতিতে আপনার সম্পর্কে কী বলেন সেইটা জাইনা নিন। বস্তুত আমি ছাড়া আর কিছু নাই। আমি একটা কবি আমি একটা গল্পকার, আমি একটা গোষ্ঠী, আমি একটা দশক। দৌড় তো ওই দশক পর্যন্তই। বেশ দশকে দশকে থাকো, জীযো যুগ যুগ।
আমি কটুভাষী না। মিহি মোলায়েম কইরা কথা কই। কিন্তু তারপরও কথাটা কই। মত জানাই। তাই আমারে কেউ পছন্দ করে না। সভাসমিতিতে ডাকে না। আড্ডা-আলোচনায় বাদ দেয়। পাঠ আয়োজনে অনুপস্থিত রাখে। তারপরও যাই। অনাহুত হিসাবে। দর্শকের বলার সুযোগ আইলে বলি। শুনলাম, আমাকে নাকি দর্শক হিসাবেও না রাখার প্লান করছে। বেশ।
একমতের সাহিত্য, সহমতের আড্ডা আর পিঠ চুলকানির গভীরতা দিয়া আর কী হইবে?
তবে কি জনাব সাহিত্য ছাইড়া দিবো? আপনে বলবেন দিছি। লেখি না, ছাপি না। মনে হয় ছাইড়াই দিছি। না জনাব, ছাড়ি নাই। মেলাই লিখছি, যে ভাইয়ের মনে প্রশ্ন উঠবে আওয়াজ দিয়েন। তবে জনাব আপনেদের মতো দাবি করতে পারবো না। আমি অমুক, অমুক দশকে অমুক পদ লইছি। তমুকদের মধ্যে অগ্রগণ্য হইছি এমন দাবি নিয়া আগায়ে আসতে পারবো না। পোষাইলে পোষাইলো না পোষাইলে নাই।
আপনের জন্য সত্যই আমি লেখি না। তবে জনাব আপনে বলবেন আপনি কার জন্য লেখেন? আমি বলবো আমি কার জন্যই লেখি।
হা হা হা।
সম্প্রতি দাবী-দাওয়া নিয়া মেলা আলোচনা হইতেছে। সেই প্রসঙ্গে এই প্রলাপ।
শেষে হুমায়ুন আজাদের একটা প্রবচন (যদ্দুর মনে পড়ে)। উনি কইছিলেন, এইদেশ হইলো মূর্খের দেশ। তুমি যদি কও ভাই আমি কিছু না। মূর্খরা না পইড়া তোমার মুখের কথায় তোমারে কিছু না বানায়ে দিবে। আর যদি কও আমি হেনা তেনা এটা সেটা অনেক কিছু। মূর্খরা না বুইঝা সেইটাই বিশ্বাস করবে।
Amzad Sujon

Jannatun Nahar Munnee

Muiz Mahfuz

Omar Sharif Pallab
Birmingham City University

Udisa Emon

Azhar Forhad

Nuruzzaman Manik

Sujan সুজন

Sayeed Jubary

liked this note.

Tuesday, June 15, 2010

খালেদা জিয়ার বাড়ি

Wednesday, April 15, 2009 at 3:05pm on facebook

মন্ত্রিসভা খালেদা জিয়ার মইনুল রোডের বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করার সংবাদ গুরুত্ব সহকারে মিডিয়াগুলা প্রচার করলো, দেখলাম। তবে এই সংবাদ প্রচারে তারা বহুবার জেনারেল জিয়ার বিধবা স্ত্রী, তারেক-কোকোর দুর্নীতি এইসব বিষয় গুরুত্ব দিয়া উল্লেখ করছে। হরে দরে মিডিয়াগুলা খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্ট থিকা তাড়ানোর ব্যাপারে একমত হইছে এইটা বুঝা যায়। ভাল কথা। মিডিয়ার লোকেরা, বুদ্ধিজীবীরা কী কী যুক্তি দিতেছেন সেইটাও খিয়াল করলাম।
বাড়ির বরাদ্দ বাতিলের বিষয়টা জাতীয় রাজনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পরিণত হইছে। হ্ওয়ারই কথা। কারণ এই বাড়ি শুধু বাড়ি না, বরাদ্দ বাতিলও শুধু বরাদ্দ বাতিল না। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাতিলের বিষয় এইটা আসলে না। এইটা আসলে কী?
সেনাবাহিনীর সাথে বাংলাদেশের অসামরিক রাজনীতির বুঝাপড়ার নতুন মাত্রা এই বাড়ি দিয়া নির্ধারিত হইতে যাইতেছে বইলা ধারণা করা যায়। জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রীকে দুইটি বাড়ি দিছিলেন জেনারেল এরশাদ। দুইটা বাড়ির একটা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত। এরশাদ কইছেন, উনি জানতেন না যে খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন। এরশাদের জানার কথা না। কারণ এরশাদ নিশ্চিত আছিলেন যে, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের রাজনীতি জাতীয় পার্টি গঠনের মাধ্যমে বিএনপির হাত থিকা তার পকেটে গিয়া ঢুকবে। খালেদা জিয়া পলিটিক্যালি নিঃস্ব হয়া পড়বেন। তাই তিনি তৎকালে সেনাবাহিনী, দলত্যাগী বাংলাদেশী ন্যাশনালিস্ট ও ওই রাজনীতির লোকদের সহানুভূতি আকর্ষণের জন্য খালেদা জিয়াকে দুইটা বাড়ি দিছিলেন। বলা যায়, ক্যান্টনমেন্টের বাড়িতে খালেদা জিয়া সুখে আছিলেন। ওই বাড়িতেই তার রাজনৈতিক অভীপ্সার বিকাশ ঘটছিল। উনি এরশাদের দুর্বলতার সুযোগে আবারও বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী সমর্থিত ব্রিফকেস অভ্যস্ত স্যুট-টাই পরিহিত ভদ্রলোকদের জাতীয়তাবাদী ক্লাবটিকে মজবুত করেছিলেন। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদরে ব্রান্ডিং এরশাদের পকেট থেকে বের করে নিজের কবলে নিয়েছিলেন। সব মিলায়ে ৯০এর অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় আসছিলেন।
তখন ও পরে যে কোনো সময় বাংলাদেশের অপরাপর অসামরিক রাজনৈতিক শক্তিগুলা বিশ্বাস কইরা আসছে যে, মইনুল রোডের বাড়িটা খালেদা জিয়ার শক্তির অন্যতম খুঁটি। কিন্তু ওই বাড়ি থিকা তাকে বাইর কইরা দেওয়ার সাধ্য ও সাধ কারো হয় নাই। কথিত আছে, মহাপরাক্রমশালী তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করার আগে দশবার ভাবছিল শুধু ওই বাড়ির কারণে।
খালেদা জিয়া ওইখানে নিরাপদে থাকেন। সেনাবাহিনীর মনোভাব বুঝতে পারেন। রাস্তায় চলতে গিয়া অনেকের সাথে দেখাসাক্ষাৎ হয় এইটা অন্য রাজনৈতিক শক্তিগুলার চক্ষুশূল হয়া থাকতে পারে। সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে এইটারে তারা বাধা হিসাবেও দেখতে পারে। ফলে, সুযোগ পাইলে খালেদাকে সেনানিবাস ছাড়া করার সুযোগ তারা ছাড়বে না এইটা সহজবোধ্য। শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাইতে হয় যে, তিনি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে খালেদা জিয়ার নিবাস কাইড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। পিলখানায় শহীদ সেনাকর্মকর্তাদের পরিবারের বাসস্থানের জন্য শহীদ জিয়ার পরিবারের বাসভবন ছাড়তে হবে খালেদা জিয়াকে।
এর মধ্য দিয়া।
১. সেনাবাহিনীর দরদ কোন শহীদ/শহীদদের প্রতি বেশি সেটা পরীক্ষা হয়া যাবে।
২. পিলখানা শহীদদের ব্যাপারে খালেদা জিয়া কতটা স্যাক্রিফাইস করতে পারেন সেইটা বুঝা যাবে।
৩. এই বাড়ির আইনগত ভিত্তি কেমন মজবুত তা পরীক্ষা হয়ে যাবে।
৪. খালেদা জিয়াকে শেষ পর্যন্ত তাড়াতে না পারলেও আওয়ামী লীগ যে মরণ কামড় দিতে পারছিল সেইটার শক্তি পরীক্ষা হবে।
এখন প্রশ্ন, আওয়ামী লীগ তথাকথিত প্রগতিশীল রাজনীতির জিম্মাদার হিসাবে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে অধিকতর সমর্থন পাইতেছে সন্ত্রাসবিরোধী রাজনীতির নায়কদের কাছ থেকে। যে কালে যে আচার, বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো দেশে এই আচারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে প্রগতিশীল আচরণ করতে হইতেছে। স্বাভাবিকভাবে বিএনপির সাথে তাদের মারিফতি ঐক্যের বদলে এখন আওয়ামী লীগের সাথে প্রাকৃতিক মৈত্রী তৈয়ার হইছে। কিছু ঝামেলাজনক এলিমেন্ট নাই তা না। কিন্তু সেনাবাহিনীকে মোটাদাগে প্রগতিশীল ভূমিকা এখন নিতেই হবে।
এই প্রাকৃতির মৈত্রীর সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে সরিয়ে সেই মারিফতি যোগাযোগ নষ্ট করতে চাইতেছে। রাজনীতির চাল হিসাবে এইটাও খারাপ না। কিন্তু এর মধ্য দিয়া আওয়ামী লীগ বিএনপির জায়গায় নিজেকে প্রতিস্থাপন করতে চাইতেছে, যে জিনিশটা খুবই খারাপ।
খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টে থাকতে পারবেন না কেন?
কারণ ওইখানে থাইকা উনি পলিটিক্স করেন। বেশ। ওনার ওইখানে থাকা অবৈধ। দুইটা বাড়ি নেয়া অবৈধ।
তাইলে ওইখানে বৈধভাবে থাইকা যারা রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন তাদের ব্যাপারে সরকার কী বলেন?
ওইখানে না থাইকা যারা ওইখানকার চাওয়া পাওয়া রাজনীতিতে বাস্তবায়ন করেন তাদের ব্যাপারে শেখ হাসিনা কী বলেন?
দেশ সুরক্ষার জন্য যারা শপথ নিয়া অস্ত্র ধারণ করেন তারা রাজনৈতিক অভিলাষ প্রদর্শন করলে সেইটারে যে অন্যেরা উৎসাহ দেয় সেইটারে কী বলা যায়।
আমাদের সমাজে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের যে সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি তার উৎস কোথায়? সবাইরে তো এরশাদ বাড়ি দিয়া প্রতিষ্ঠা করে নাই। ধরলাম, সেনানিবাসে একা খালেদাই রিয়েল বাড়ি দখল কইরা আছেন কিন্তু যারা ভার্চুয়াল বাড়ি কইরা আছে? কবি এইখানেই নীরব।
কথা হলো আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক উদ্দেশ্য থিকা খালেদা জিয়াকে উৎখাত করতে চাইতেছে না। ফলে, ছাগমাতার তৃতীয় সন্তানের মতো যারা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রকে বেসামরিকায়নের পদক্ষেপ হিসাবে দেখতেছেন তারা ভুল দেখতেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে চোখ বুলাইলে বুঝা যায়, ভুল শীঘ্রই ভাঙিবে।

Rifat Hasan

A.N.M. Mominul Islam Mukut

Sharmee Hossain
University of Dhaka

Tarik Saifullah

Nayeemul Hossain Choudhury
East West University

Irteja S. Ali

Abdullah Mahbub Sumon

Raafiq Hariri

Omar Sharif Pallab
Birmingham City University

Tasneem Khalil
North South University

Niaz Morshed Chowdhury
TCD

Apurbo Shohag

Angelica Lima

liked this note.

পিলখানা হত্যাকাণ্ড বিষয়ে

Monday, March 30, 2009 at 6:59pm on facebook
কন্সপিরেসি থিওরি যে কয়টা সামনে আসছে সবকয়টাই দেখলাম ঠিক। সবকয়টার পক্ষে যুক্তি প্রায় অকাট্য। আমি সবকয়টাই বিশ্বাস করছি। এই ঘটনা জামাত ঘটাইতে পারে। আবার নাও ঘটাইতে পারে। এই ঘটনা জেএমবি ঘটাইতে পারে আবার নাও ঘটাইতে পারে। হইতে পারে এই ঘটনা ইনডিয়া/পাকিস্তান/আফগানিস্তান/যুক্তরাষ্ট্র/যুক্তরাজ্য ঘটাইছে। হইতে পারে, আওয়ামী লীগ/বিএনপির নেতারা এই ঘটনার পিছনে আছে। সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ সম্প্রসারিত করার উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হইতে পারে। আবার সন্ত্রাসবাদীরাই এই ঘটনা ঘটাইতে পারে। বিডিআরের আভ্যন্তরীণ ক্ষোভ থিকা এই ঘটনা ঘটতে পারে। আবার সেনাবাহিনীর অন্তর্ন্দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। উলফা এই ঘটনা ঘটাইতে পারে। সন্দেহের বাইরে কেউ নাই। কাউরেই সন্দেহের বাইরে রাখা যাইতেছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হইতেছে, তদন্ত না আসলে গণভোটের আয়োজন কইরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হইছে।
এমনও হইতে পারে যে একটা জরিপের আয়োজন করা হইলো।
সন্দেহজনক সবার নাম লিস্টে থাকলো।
জনগণ যাকে বেশি সন্দেহ করবে তাকে ধরা হইলো।
কোর্টমার্শাল/বিডিআর আইন/প্রচলিত আইনে তাদের বিচার হইলো। কোন আইনে বিচার হবে এই নিয়াও একটা ভোটাভুটি হইতে পারে।
বহুধাবিভক্ত একটা সমাজে সিদ্ধান্তে পৌছানোর আর কোনো উপায় দেখতেছি না।
আবার ব্যাপারটাকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সামলানো দরকার। তাই ভেবেচিন্তে এই সমাধান বের করলাম।
কেউ পছন্দ না করলে বা মাইন্ড খাইলে আওয়াজ দিয়েন।
Nusrat Jahan Dipa

Rifat Hasan

Chondon চন্দন

Palash Basak

Faruk Wasif

Nuruzzaman Manik

Wahida Farzeen

Omar Sharif Pallab
Birmingham City University

Nayeemul Hossain Choudhury
East West University

Abdullah Mahbub Sumon

Puspo Kona


Goutam Roy গৌতম রায়


শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন
liked this note.

জানি বিশ্বাস করবেন না তবু

Monday, March 23, 2009 at 9:15pm on facebook

মারা যাওয়ার বছর খানেক আগে সেলিম আল দীনের সঙ্গে আমার শেষ দেখা হইছিল। সে বার স্যার আমারে ফোন দিয়া প্রথম মহুয়া উৎসবের স্মৃতি রোমন্থন করার মানসে আমারে জাহাঙ্গীরনগর যাইতে কইছিলেন। আমিও বহুদিন পর স্যারের ফোন পায়া নরম মন নিয়া ক্যাম্পাসে গিয়া উপস্থিত হইছিলাম। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর স্যারের বাসায় বড় সাইজের কই মাছ দিয়া ভাত খায়া ঢাকার পথে রওনা হইছিলাম। স্যারের সঙ্গে সেই আমার শেষ দেখা।
মৃত্যুর আগে পরে আর দেখা হয় নাই। স্যারের ভুলে দুইবার ফোনে কথা হইছিল। দুইবারই স্যার কোনো এক ডক্টর মাহবুবকে খুঁজতেছিলেন। প্রথমবার জিগাইলেন, ড. মাহবুব বলছেন? আমি বললাম, স্যার আমারে তো আপনেরা ডক্টরেট দিলেন না। এমফিলেও আমি ভর্তি হই নাই। ভুল করে ফোন করলেও সেদিন স্যারের সাথে মেলা কথা হইছিল। কুশলাদি বিনিময় হইছিল। পরের বার একইভাবে ফোন কইরা স্যার ড. মাহবুবকে খোঁজ করার পর আমি আর কূটাভাস না করে বললাম, স্যার আমি মাহবুব মোর্শেদ। মনে হইলো আগের বারের ঘটনা উনি ভুলে গেছেন। বললেন, জরুরি দরকার ড. মাহবুবকে। এখন রাখি, পরে কথা হবে তোর সাথে। তাড়াহুড়ার মধ্যে আর ডক্টর মাহবুবের পরিচয় জানা হয় নাই। স্যারের সাথে আর কথাও হয় নাই। মাঝে ভাবছিলাম ফোন দিবো। আজ দেই কাল দেই করে করে আর দেয়া হয় নাই ফাইনালি। উনি যে এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন এইটা আমি বুঝতে পারি নাই। অথচ আমার বুঝা উচিত আছিল।
সেলিম আল দীন মারা যাওয়ার পর ল্যাব এইডে গেছিলাম। শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ পর্যন্ত গিয়া ফিরে আসছিলাম। তার শুভানুধ্যায়ী বন্ধু অনেকের সাথে দেখা হইলেও তার সাথে আর সাক্ষাৎ হয় নাই। মাঝে মাঝে ভুল হয়। মনে হয় উনি মনে হয় বেঁচে আছেন। জাহাঙ্গীরনগরে গেলেই দেখা হবে। সময় করে একদিন গেলেই দেখা হবে। এইটা স্রেফ মনে হওয়ার বাইরে কিছু না। আমি নিশ্চিত সেলিম আল দীন আর বেঁচে নাই। তার স্মরণোৎসব হয়ে গেছে। তার নামে সেমিনার সিম্পোজিয়াম চলতেছে। এইগুলা দেখলে আর সন্দেহ থাকে না যে উনি নাই।
কাল রাতে হঠাৎ বালিশের নিচে রাখা ফোনের ভাইব্রেশনে অন্ধের মতো হাত বাড়িয়ে দিছিলাম অভ্যাসবশত। এরকমভাবে ফোন ধরার অভ্যাস আমার আছে। তবে ঘুমের মধ্যে নাম্বার দেখি না। ফোন ধরে কথা শুনে পরিচয় বোঝার চেষ্টা করি। এরকম একটা ফোন কালকেও আসছিল। আমি যথারীতি বালিশের নিচে হাত চালায়ে ফোনটা ধরে খুব অবাক হয়া গেলাম। স্মৃতি আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। সেলিম স্যারের ফোন। উনি ফোনের শুরুতে হ্যালো বা এইরকম কোনো কথা বলতেন না। সেইরকমভাবেই সরসরি প্রসঙ্গে ঢুকে গেলেন। বললেন, লেখাটা তো ধরলি না?
কোন লেখা স্যার, আমি তার কণ্ঠস্বর শুনে কোনো সন্দেহ পোষণ না করেই বুঝলাম উনিই।
কোন লেখা সেটাও ভুলে গেলি? কাল সকালে উঠে ভেবে বের করে আমাকে ফোন দিস।
আমি ভাবলাম জিজ্ঞেস করি, উনি এত রাত পর্যন্ত জেগে আছেন কেন?
প্রশ্নটা ঠোঁটে আসার আগেই উনি লাইন কেটে দিলেন।
কমপ্লিট নীরবতা না হইলে স্যার ঘুমাইতে পারতেন না। আমার মনে হইলো হয় উনি লিখতেছেন নয়তো কোনো কারণে ঘুম আসতেছে না। কিন্তু স্বাভাবিক হিসাবে আমারে ফোন দেওয়ার কথা না।
বুঝতে পারলাম না, স্যার কোন লেখার কথা বুঝাইতে চাইলেন। ভাবতে ভাবতে আবার ঘুমায়ে পড়লাম।
সকালে বউ অফিসে যাওয়া উপলক্ষে আমাকে ডেকে তুললে জেগে উঠলাম। তাকে বিদায় দিয়ে টুকিটাকি কিছু কাজ করে টিভির রিমোর্ট হাতে নিছি অমনি স্যারের কথা মনে পইড়া গেল।
অর্থাৎ প্রয়াত সেলিম আল দীন আমাকে ফোন করছিলেন রাতে। নিজে থেকে একটা হাসি আমার মুখে দেখা দিয়েই মিলায়ে গেল। মনে মনে বললাম, সেলিম স্যারের পক্ষেই এমনে স্বপ্নের মধ্যেও তদারকি জারি রাখা সম্ভব। কিন্তু উনি কোন লেখার কথা জিগাইলেন? ওনার জীবিত কালে আমি বলছিলাম, স্যার আপনার যথাযথ মূল্যায়ন যাতে হয় এইজন্য আমি একটা বই লিখবো। সেই বইটার কথা না তো?
অনেকেই তো লিখতেছে। এর মধ্যে আমার কথাই কেন ওনার মনে হইলো। বিশেষ কইরা। নাটকের আমি কী বুঝি।
এইসব ভাবতে ভাবতে ভয়ে ভয়ে ফোনটা হাতে নিয়া রিসিভড কল লিস্টটা দেখার জন্য বাটন চাপলাম। সেখানে সেলিম আল দীনের নাম্বার থাকবে না এইটা দুই দিনের শিশুও জানে। তাই না?
Muzib Mehdy মুজিব মেহদী

Gitiara Nasreen

Mamun M. Aziz

Niaz Morshed Chowdhury
TCD

Anika Shah

Omar Sharif Pallab
Birmingham City University

Azfar Hussain
Grand Valley State

Khaled Hossain

Bibek Xed

N.h. Sarja সার্জা

Nayeemul Hossain Choudhury
East West University

Puspo Kona


শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন
liked this note.

জেএমবি

Wednesday, March 18, 2009 at 12:48pm on facebook
দেশ আজ গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। মাত্র দু মাস আগে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসছে। যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না। যারা গণতন্ত্রের শত্রু তারা এই নবীন সরকারটিকে দুর্বল করার চেষ্টায় লিপ্ত। বাংলাদেশ সন্ত্রাস বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করায় জঙ্গিবাদীরা এই সরকারকে বিপদে ফেলতে চাইতেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্নে এরা বাধা দিতে চাইতেছে। ভবিষ্যতে আরো নানা হামলার চেষ্টা করতেছে, বইলা পত্রপত্রিকায় খবর ছাপা হইতেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ফেছনে আছে জেএমবি। জেএমবির নেতাদের ফাসি হইছে। কিন্তু তারা নতুনভাবে সংগঠিত হয়ে নতুন হামলা করতেছে। জেএমবির হাত কতদূর বিস্তৃত তা জানতে তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডগুলোর খতিয়ান দেখলে বুঝা যাবে।
১. পিলখানা হত্যাকাণ্ড। দেশের সুশৃংখল একটি বাহিনীতে ঢুকে জেএমবি সে বাহিনীর অফিসারদের নৃশংসভাবে হত্যা করলো। অথচ আমাদের র্যাব-পুলিশ তাদের প্রতিদিনই গ্রেফতার করে যাইতেছে। জঙ্গিরা দেশরক্ষা বাহিনীতে ঢুকে গেলেও কেউ বুঝলো না।
২. বসুন্ধরা অগ্নিকাণ্ড। নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে না। তার মানে কেউ যদি বলে, এটা জেএমবি ঘটাইছে তাহলে কেউ প্রতিবাদ করবে না।
৩. অর্থনৈতিক মন্দা, অসন্তোষ, সরকারের অদক্ষতা, আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণার কারণে মালেশিয়া সহ নানা দেশ থিকা শ্রমিক দেশে ফেরত আসেতেছে। খবরে জানলাম, এর পিছনের স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তির মদদ পাওয়া যাইতেছে। আর একটু এগিয়ে বলা সম্ভব, এটা জেএমবির বৈদেশিক উইংয়ের কারসাজি।
৪.ছাত্রলীগের সন্ত্রাসে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রক্তাক্ত। অনেকগুলো বন্ধ, বাকীগুলা বন্ধ হওয়ার পথে। ধারণা করা যায়, জেএমবি ছাত্রলীগের মধ্যে ঢুকে নাশকতা ঘটিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দেয়ার জন্য এরকম করতেছে।
৫. সচিবালয়ে সচিবরা কাজ করেতেছে না। দেশ পিছিয়ে পড়ছে, প্রশাসনিক কাজকর্মে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কেউ যদি একেও জেএমবির কাজ বলে তাইলে কিছু করার নাই।
এখন থেকে কেউ দোষ করলে নন্দঘোষের ওপর না চাপিয়ে জেএমবির ওপর চাপানো যাবে।
জেএমবির হাত থেকে দেশ রক্ষার কোনো বিকল্প নাই।
আসুন আমরা জেএমবিকে প্রতিরোধ করি। জেএমবির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলি।

Sayeed Jubary

Ojhor Srabon

Mohammad Arju
University of Dhaka

Rifat Hasan

Tamal Tml

Nuruzzaman Manik

Niaz Morshed Chowdhury
TCD

Sohel Hasan

Faruk Wasif

Puspo Kona


Kalo Kali Das

liked this

Monday, June 14, 2010

পাকিস্তান

Sunday, March 15, 2009 at 3:14pm on facebook
পাকিস্তানের প্রাক্তন এক সেনাকর্মকর্তা কইছিলেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিজের দেশ দখলের ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত। কেমনে সহজে নিজের দেশ দখল করা যায়, সে দখলকে দীর্ঘস্থায়ী করা যায় তা যে কেউ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাছ থিকা শিখতে পারে। ফৌজি কর্মকর্তারা দেশ শাসন করতে করতে পাকিস্তানকে হাটু গেড়ে হাটাইতে বাধ্য করতেছেন। যারা দেশ চালায় তাদের বুদ্ধি যদি হাটুতে থাকে তাইলে দেশ কেমনে দাড়ায়ে থাকবে?

পাকিস্তান হইলো একটা অগ্নিকুণ্ড যে কেউ সেখান থেকে আগুন নিয়া নতুন আগুন তৈয়ার করতে পারে। জেনারেলদের স্বল্পবুদ্ধিতে দেশটা একদা বড় খেলোয়াড়দের ক্রীড়াক্ষেত্র হিসাবে ব্যবহৃত হইতো। স্নায়ুযুদ্ধে খেলে খেলে পাকিস্তান স্নায়ু শক্ত করছে। তালেবানদের দিয়া সোভিয়েত ঠেকাইতে গিয়া পাকিস্তান নিজেই তালেবান হয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে অংশ নিয়া সেই যুদ্ধরে নিজের ঘরে টাইনা আনছে।

কেউ যদি জিগায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কমান্ড কার হাতে তাইলে সে প্রশ্নের উত্তর হবে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিজেই নিজেকে চালায়। বিচারবিভাগের চেয়ে শক্তিশালী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীই পাকিস্তান, পাকিস্তানই সেনাবাহিনী। সরকার চলে সেনাবাহিনীর কমান্ডে। তবে মাঝে মাঝে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে কমান্ড করতে পারে। যে জওয়ানরা নিজের দেশের মুরুব্বীদের কথা শুনে না, বুঝতে হবে তাদের মুরুব্বী বাইরে থাকে।

পাকিস্তান কি ইহজন্মে এই সেনাচক্র থেকে বের হইতে পারবে? না। হাটুতে ভর দিয়া চলতে চলতে দেশটা শীঘ্রই শুয়া পড়বে। পাকিস্তানই হবে সামনের আফগানিস্তান। টুকরা টুকরা এই দেশটায় একসময় ন্যাটো আর জাতিসংঘ খেলা করবে।

আল্লাহতালার অশেষ নিয়ামতে আমরা পাকিস্তান হতে মুক্তি পাইছি। তবে, কেউ কেউ বলে বাংলাদেশ নাকি দেখতে পাকিস্তানের জমজ ভাইয়ের মতো।

আমি একজোড়া জমজ ভাইকে চিনি। যাদের একভাই কাইন্দা উঠলে অন্য ভাইও কান্দে। আজব ব্যাপার। বহু আগে উদয়ন পত্রিকায় এই ধরনের জমজদের ছবি দেখছিলাম। কার সাথে কার কী কারণে মিল সেইটা বুঝা বড় দায়। আসেন আমরা পাকিস্তানের জন্য খাস দিলে দোয়া করি।
Fatema Abedin Nazla

Sumon Rahman

Omar Sharif Pallab
Birmingham City University

Syed Amiruzzaman

Odhora Mira


Hasan Murshed

liked this note.

অদক্ষতা ও অযোগ্যতা

Saturday, March 14, 2009 at 8:28pm, Facebook
বাংলাদেশ অঞ্চলের অধিবাসীরা নাকি ১৯৭১ সালের আগে ইতিহাসে একবারও নিজেদের শাসন করার সুযোগ পায় নাই। বাইরে থেকে আইসা লোকেরা শাসন এনাদের কইরা দিয়া গেছে। এনারা খালি একের পর এক শাসক বদলাইছে। এই বিষয়ে অবশ্য সক্রিয় ভূমিকা নিছেন বইলা ইতিহাসে দেখা গেছে। বিধাতা কী কারণে এনাদের আত্মশাসনের তৌফিক দেন নাই তিনিই জানেন। জ্ঞানীরা বইলা থাকেন, ভারতীয় উপমহাদেশে বাংলাদেশই নাকি প্রথম জাতিরাষ্ট্র। আরও বিস্ময়কর ঘটনা হইলো এই দেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মে মুসলমান ভাষায় বাঙালি।

বাংলাদেশ বর্তমানে এই সংখ্যাগরিষ্ট বাঙালি আর মুসলমান মিলে শাসন করতেছেন। এনাদের নিয়া বিস্তর গবেষণা হইছে। বাঙালি ও মুসলমান শাসকশ্রেণীর ব্যবসা, শাসন, জনপ্রশাসন, বিদ্যাশিক্ষা, প্রতিষ্ঠান গঠন, রাষ্ট্রপরিচালনা, দেশরক্ষার কোনো ইতিহাস আছে কি না জানা যায় নাই। থাকলে ভাল। জানতে চাই।

সম্প্রতি আমার মনে হইতেছে বিগত ৩৮ বছরের স্বাধীনতায় এনারা এইসব বিষয়ে অদক্ষতা ছাড়া আর কিছুই তৈয়ার করতে পারেন নাই। বাঙালি ও মুসলমান শাসকশ্রেণী একাদিক্রমে সবক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়া বর্তমানে ধরা খাওয়ার পর্যায়ে চইলা যাইতে নিছে।

কিছু দিন ধইরা দেখতেছি।
১. সিভিল সমাজ আর মিলিটারি সমাজ মিলে সহমতের রেজিমে দেশ শাসন কইরাও দেশটার কোনো উন্নতি করতে পারলো না। দেশ পিছাইলো। গণতন্ত্র দূরের কথা, এত সহমতের মধ্যে এনারা স্টেট অফ এমারর্জেন্সি দিয়া শেষ দিন পর্যন্ত নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেন।
২. দাম বাড়লো, বাজারে আগুন লাগলো হেনা তেনা নানা কিছু প্যাঁচানো হইলো কিছুতেই কিছু করা গেল না।
৩. সিডর হইলো দেখা গেল এইসব মোকাবিলায় আমাদের অদক্ষতা প্রচণ্ড। অথচ মাইনষে কয় ঘূর্ণিঝড় বন্যা জ্বলোচ্ছাস এইখানে ধর্মপালের আমল থিকা চলতেছে। কিন্তু কোনো প্রস্তুতি এই দেশে রেওয়াজ হিসাবে দাঁড়ায় নাই।
৪. এনটিভি পুড়লো, বসুন্ধরা পুড়লো লোকে দাঁড়ায়া বইসা আগুন দেখলো। আমি দেখলাম অদক্ষতা আর অযোগ্যতা।
৫. বিডিআর-এ হত্যাকাণ্ড হইলো সবাই দেখলো ষড়যন্ত্র আমি দেখলাম অদক্ষতা আর অযোগ্যতা।
৬. দেশের বাইরে শ্রমিকরা বিপদে আছে। এইখানেও অদক্ষতা আর অযোগ্যতা।
লিস্ট বড়বে ছাড়া কমবে না।

ইনডিয়া করছে, পাকিস্তান করছে, আম্রিকা করছে, ব্রিটেন করছে বইলা আমরা উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাইতে পারবো তাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু করছে যে আমাদের অদক্ষতা আর অযোগ্যতার কারণে এইটা কবে আলোচনার মধ্যে আসবে?

Omar Sharif Pallab
Birmingham City University

Rifat Hasan

Nurunnaby Hasive
BdOSN

Labanya Prava

A.N.M. Mominul Islam Mukut

Niaz Morshed Chowdhury
TCD

Mohammad Arju
University of Dhaka

Puspo Kona

liked this.